একটি মাদক মামলার সাক্ষী হওয়ায় তিন বছরের এক শিশুসহ একই পরিবারের চারজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। আহতদের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
ফরিদপুর সদর উপজেলার আলিয়াবাদ ইউনিয়নের ভাজনডাঙ্গা আদর্শ গ্রামে গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
আহতরা হলেন- ভাজনডাঙ্গা গ্রামের দিনমজুর তারা ফকিরের স্ত্রী রহিমা বেগম (৬০), ছেলে মোহসিন ফকির (৩৫), ৩ বছরের নাতি শিপন ফকির ও চা দোকানদার লাবলু চৌধুরী (৫০)।
এদের মধ্যে ধারালো অস্ত্রের কোপে মোহসিন ফকিরের মাথা ও মুখজুড়ে বড় ধরনের কোপের কারণে তার অবস্থা গুরুতর। তাকে রাতেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহত অন্যদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিউলি বেগম (২৬) ও পূর্ণিমা (২০) নামে আরও দুজনকেও পিটিয়ে জখম করা হয়েছে।
Advertisement
আহত লাবলু চৌধুরীর ছেলে আল-আমীন ওরফে স্বপন চৌধুরী বলেন, তার বাবা ভাজনডাঙ্গা আদর্শ গ্রাম স্কুলের পাশে চায়ের দোকান করেন। একই এলাকার ইসমাঈল মল্লিকের ছেলে মিজান মল্লিক, আবুল মল্লিক ও মেয়ে জিয়াসমিনসহ নয়ন (১৮) ও সিরাজ (২৪) নামে আরও দুজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। আহত রহিমা বেগম জানান, নাতি পূর্ণিমা ও ছেলের বউ শিউলিসহ তিনি আহতদের রক্ষা করতে এলে তাদের ওপরও হামলা করা হয়।
আহত মোহসিনের ভাই মতি ফকির জানান, মাত্র দেড় মাস আগে একটি মাদক মামলায় আটক হয়ে গত পরশু রোববার কারাগার থেকে বেরিয়ে আসেন ইসমাঈল মল্লিকের স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৫০)। এর আগে ২০১৮ সালের ৮ জুন মর্জিনাকে এক কেজি গাঁজাসহ আটক করে র্যাব। ওই ঘটনায় র্যাবের ডিএডি সোহরাব উদ্দিন বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারে আহতদের সাক্ষী করা হয়। এজন্য তারা আমাদের দেখে নেয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলো।
ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা পুলিশের এসআই শামীম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
তিনি জানান, মাদক মামলার আসামি মর্জিনা ও হামলায় আহত রহিমা আপন দুই বোন। মর্জিনার মাদক মামলায় সাক্ষী হওয়ায় এ হামলার কারণ। তবে তাদের মধ্যে জমি-সংক্রান্ত বিরোধও রয়েছে।
Advertisement
বি কে সিকদার সজল/এমএএস/এমএস