কার্গো হ্যান্ডেলিংয়ে ১১৮ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে বিমানের সাবেক ডিজিএম ইফতেখার হোসেন চৌধুরী ও পরিচালক আলী আহসান বাবুকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কার্গো পরিবহনে সুষ্ঠু বাণিজ্যিক পরিকল্পনার অভাবে বিভিন্ন সময় লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদও প্রকাশিত হয়।
বিমানের অভ্যন্তরীণ নীরিক্ষার হিসাব মতে, ২০০৮ সাল থেকে প্রতি বছর কার্গো হ্যান্ডলিং চার্জ বাবদ ৭৬ কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে। ১০ বছরে উল্লেখিত খাত থেকে হাজার কোটি টাকার আত্মসাৎ করা হয়েছে। শীর্ষকর্তারা অনেকে দুবাইয়ে ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়ি গাড়ি কিনেছেন। তাদের বিরুদ্ধে বিচার বিভাগীয় তদন্ত হওয়া উচিত বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
Advertisement
তিনি জানান, এদিন সকালে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ মোহাম্মদ আলী আহসান ও ইফতেখার হোসেন চৌধুরীসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। মামলার বাদী হলেন উপপরিচালক মো. নাসির উদ্দিন। আসামিদের বিরুদ্ধে বিমানের কার্গো হ্যান্ডলিং চার্জ বাবদ ১১৮ কোটি টাকা আদায় না করে সরকারের ক্ষতি করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক স. হাবিবুল্লাহ আকন্দ, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (বর্তমানে সৌদি আরবে বিমানের কান্ট্রি ম্যানেজার) মো. শহিদুল ইসলাম, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক (বর্তমানে সৌদি আরবের রিয়াদে রিজিওনাল ম্যানেজার) আমিনুল হক ভূঁইয়া, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মো. লুতফে জামাল, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মোশাররফ হোসেন তালুকদার, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক রাজীব হাসান, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক নাসির উদ্দিন তালুকদার, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক অনুপ কুমার বড়ুয়া, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক কে এন আলম, সহকারী ব্যবস্থাপক মো. ফজলুল হক, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক সৈয়দ আহমেদ পাটওয়ারী, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মনির আহমেদ মজুমদার, সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক এ কে এম মনজুরুল হক ও সাবেক সহকারী ব্যবস্থাপক মো. শাহজাহান।
আরএম/এমএআর/এমকেএইচ
Advertisement