প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের সেবায় সুবর্ণ ভবন খুলে দেয়া হচ্ছে আগামী বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর)। ওইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভবনটি উদ্বোধন করবেন।
Advertisement
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দিবস (আন্তর্জাতিক ও জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস) পালনের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ ডিসেম্বর মিরপুরের জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন চত্বরে ১৫ তলাবিশিষ্ট জাতীয় প্রতিবন্ধী কমপ্লেক্স ‘সুবর্ণ ভবন’ উদ্বোধন করবেন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা, চিকিৎসা, প্রশিক্ষণ, পুনর্বাসন ও আবাসিক সুবিধা দিতে ১০০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই বহুমুখী ‘সুবর্ণ ভবন’ নির্মাণ করা হয়েছে।
ভবনটির বিভিন্ন সুবিধার কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ‘এ ভবনে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জন্য রয়েছে ডিজঅ্যাবল কেয়ার ইউনিট, ইনপেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট, অটিজম রিসোর্স সেন্টার, নিউরো-ডেভেলপমেন্টাল সমস্যাযুক্ত ব্যক্তির থেরাপিভিত্তিক সেবা ও কাউন্সিলিং, কারিগরি ও সাধারণ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম। অন্য প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য ইনক্লুসিভ স্কুল, ডে-কেয়ার সেন্টার, শিশুদের খেলাধুলার ব্যবস্থা, ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দাফতরিক কক্ষ, লাইব্রেরি, মাল্টিপারপাস হল, কনফারেন্স রুম, ক্যাফেটেরিয়া, নামাজের স্থান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠানের উৎপাদিত বিভিন্ন দ্রব্য সামগ্রীর প্রদর্শন ও বিক্রয় ব্যবস্থা রয়েছে এই ভবনে।’
Advertisement
সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘এই ভবনে ৩০০ প্রতিবন্ধী ছেলে ও ৩০০ মেয়ের লেখাপড়া ও থাকার ব্যবস্থা রয়েছে।’
সার্ভের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী দেশে ১৭ লাখের মতো প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছেন জানিয়ে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘দেশে মোট ১২ ধরcbv প্রতিবন্ধী ব্যক্তি রয়েছেন। যারা প্রতিবন্ধী জরিপের আওতাভুক্ত হয়েছেন, তারা প্রতি মাসে ৭৫০ টাকা করে ভাতা পেয়ে থাকেন। তারা যতদিন জীবিত থাকবেন ততদিনই তারা পেতে থাকবেন। যারা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী তারা শিক্ষা উপবৃত্তি পেয়ে থাকেন। তারা ৭০০ থেকে দুই হাজার টাকা পর্যন্ত উপবৃত্তি পেয়ে থাকেন। আমরা প্রায় এক লাখ প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দিয়ে থাকি।’
সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে ১০ লাখ প্রতিবন্ধী ব্যক্তির জন্য বরাদ্দ করা ভাতার পরিমাণ হলো ৮৪০ কোটি টাকা। যা ২০০৮-০৯ অর্থবছরের চেয়ে পাঁচগুণ বেশি।’
এবারই প্রথম দিবস পালনের ব্যাপ্তি উপজেলা পর্যন্ত ছড়িয়ে দেয়া হয়েছে জানিয়ে নুরুজ্জামান আহমেদ বলেন, এ বছর দিবসের প্রতিপাদ্য-অভিগম্য আগামীর পথে (দ্য ফিউটার ইজ অ্যাকসেসিবল)।
Advertisement
সংবাদ সম্মেলনে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ, প্রধান তথ্য কর্মকর্তা সুরথ কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।
আরএমএম/এসআর/জেআইএম