আন্তর্জাতিক

চন্দ্রযান-২ এর ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে

চন্দ্রপৃষ্ঠে ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষের সন্ধান মিলেছে বলে জানিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।সংস্থাটির তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে, চাঁদকে প্রদক্ষিণ করা তাদের একটি উপগ্রহ চন্দ্রযান ২-এর ল্যান্ডার বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পেয়েছে।

Advertisement

গত ৭ সেপ্টেম্বর চন্দ্রপৃষ্ঠের অবতরণের ঠিক আগেই চন্দ্রযান-২ এর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডারটির। নাসা তাদের চন্দ্রাভিযান পুনরুদ্ধার সংক্রান্ত অরবিটারের তোলা কয়েকটি ছবি পোস্ট করে দেখায় যে ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণের চেষ্টার পরে চন্দ্রপৃষ্ঠে কী প্রভাব পড়েছে এবং ল্যান্ডারটির ধ্বংসাবশেষ যে জায়গায় পড়ে আছে সেটিকেও নির্দেশ করে ওই ছবি।

এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, মূল ঘটনাস্থলের প্রায় ৭৫০ মিটার উত্তর-পশ্চিমে শানমুগা সুব্রহ্মনিয়ম ওই ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকার স্থানটি ছবিতে শনাক্ত করেন।

শানমুগা সুব্রহ্মনিয়ম এলআরও প্রকল্পের মাধ্যমে ধ্বংসাবশেষের ইতিবাচক শনাক্তকরণের কথা জানিয়েছিলেন। তার কাছ থেকে আভাস পাওয়ার পরেই, এলআরসি টিম আগে এবং পরে তোলা ছবিগুলোর মধ্যে তুলনা করে শনাক্তকরণ নিশ্চিত করে।

Advertisement

প্রথম ছবিগুলোতে যেখানে ল্যান্ডার বিক্রম অবতরণের চেষ্টা করে সেই প্রভাবিত স্থানটি নির্দেশ করে। যদিও তখন সেই ছবিতে অত্যন্ত অল্প আলো থাকায় ছবিটি শনাক্ত করা খুবই দুঃসাধ্য ছিল। পরের ছবিগুলো যথাক্রমে ১৪ এবং ১৫ অক্টোবর ও ১১ নভেম্বর তোলা হয়েছিল।

এলআরওসি টিম এই নতুন ছবিগুলোতে আশেপাশের অঞ্চলকেও স্পষ্ট করে তুলে ধরেছে। ফলে বিক্রমের অবতরণের চেষ্টার ফলে চন্দ্রপৃষ্ঠে পড়া প্রভাবের স্থান এবং ওই ল্যান্ডারের ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকার জায়গাটিও খুঁজে পাওয়া গেছে।

নাসার প্রকাশ করা ছবিতে নীল ও সবুজ রঙ করে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। জানা গেছে, নীল রঙের মাধ্যমে বিক্রমের ধ্বংসাবশেষকে চিহ্নিত করা হয়েছে। অন্যদিকে, সবুজ রঙ দিয়ে বোঝানো হয়েছে বিক্রমের ভেঙে পড়া টুকরোর ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত চাঁদের জমিকে।

গত ৭ সেপ্টেম্বর চাঁদের মাটিতে অবতরণের সময়ে চন্দ্রযান ২-এর অরবিটারের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ল্যান্ডার বিক্রমের। চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার ওপরে সংকেত পাঠানো বন্ধ করে দেয় সে। এই বিক্রমের মধ্যেই ছিল রোভার প্রজ্ঞাণ। তখনই আশঙ্কা করা হয় যে, চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের সময়ই ভেঙে পড়েছে ল্যান্ডার বিক্রম।

Advertisement

টিটিএন/জেআইএম