জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য দায়ী দেশগুলোর কাছ থেকে ন্যায্য ক্ষতিপূরণ আদায়সহ নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে পাঁচ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। ওই দাবি আদায়ে স্পেনের মাদ্রিদে অনুষ্ঠিতব্য কপ-২৫ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা কার্যকর উদ্যোগ নেবেন বলে আশা প্রকাশ করা হয়।
Advertisement
সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাজধানীর শ্যামলীতে নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ (এনসিসি’বি) সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ‘ন্যাশনাল ক্লাইমেট চেঞ্জ এডভোকেসি ফোরাম’-এর সভায় এ দাবি জানানো হয়।
উন্নয়ন ধারা ট্রাস্টের প্রধান নির্বাহী মো. আমিনুর রসূলের সভাপতিত্বে সভায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, এনসিসিবির রিসার্চ অ্যান্ড এডভোকেসি অফিসার মাহবুবুর রহমান অপু, সিনিয়র সাংবাদিক নিখিল ভদ্র, ল্যান্ড নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী সরকার মোহাম্মদ আলী, পার্লামেন্ট নিউজের সম্পাদক সাকিলা পারভীন, ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের প্রজেক্ট অফিসার সামিউল হাসান, ইনস্টিটিউট অব ওয়েলবিং-এর প্রতিনিধি এ এন এম মাসুম বিল্লাহ, এনভায়রনমেন্ট ডিফেন্স নেটওয়ার্কের আল ফুরকান, এনসিসিবির কর্মী আল ইমরান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
সভায় উত্থাপিত দাবিতে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত সমঝোতা প্রক্রিয়াতে বাংলাদেশের অবস্থান নির্ধারণে জলবায়ু বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা, গবেষণা প্রতিষ্ঠান, সুশীল ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের মতামত ও কার্যকর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। জলবায়ুর অভিঘাত মোকাবিলায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পাশে আর্থিক, কারগরি ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর কার্যকর উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।
Advertisement
দুর্যোগের কারণে সৃষ্ট ক্ষয়-ক্ষতির জন্য বিমা, ঋণ কিংবা অনুদানের পরিবর্তে উন্নত বিশ্বের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে। জলবায়ু বাস্তুচ্যুত ও অভিবাসীদের জন্য পৃথক তহবিল ও পরিকাঠামো তৈরি করতে হবে। সর্বোপরি প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নে গ্রিন হাউস গ্যাস নির্গমন কমানোর বৈশ্বিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরকারী দেশ সমূহকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে।
এইচএম/আরএস/এমএস