আইন-আদালত

বংশী নদী দখলদারদের তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

সাভারের বংশী নদী দূষণ ও অবৈধ দখলদারদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে একটি প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

Advertisement

আগামী ৩০ দিনের মধ্যে পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা), রাজউক, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের নির্বাহী কর্মকর্তা, সাভারের ভূমি কর্মকর্তা, ঢাকা জেলার এসপি ও সাভার থানার ওসিকে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

এছাড়া বংশী নদী দখল করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় সচিব ও জাতীয় নদী কমিশনসহ ১৪ জন বিবাদীকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। জনস্বার্থে দায়ের করা এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

আদালতে আজ রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মো. বাকির হোসেন, সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার আবু সাদেক আব্দুল্লাহ।

Advertisement

গত ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘দখল-দূষণে শেষ বংশী নদী’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ পায়। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘৬৫ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান গিলে খাচ্ছে রাজধানীর উপকণ্ঠের সাভারের বংশী নদী। এ নদীর বিরাট এলাকা প্রভাবশালীদের দখলে থাকলেও উদ্ধারে উদ্যোগ নেই। সরকারিভাবে নদী দখলদারদের ৬৫ জনের তালিকা প্রস্তুত করে নোটিশ দেয়া হলেও তারা এতে কর্ণপাত করছেন না।

বরং নদীর দুই পাড়ে সমান তালে চলছে দখল ও ভরাট। পাশাপাশি বিভিন্ন কল-কারখানার বর্জ্য নদীতে পড়ায় দূষণ বাড়ছে। নির্মাণ করা হচ্ছে অবৈধ স্থাপনা। নদীর মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে দেদারছে। এসব কারণে ভালো নেই সাভার উপজেলার ৪০ থেকে ৪২ লাখ বাসিন্দা।’

পরে ওই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হাইকোর্টে রিট করেন ব্যারিস্টার মো. বাকির হোসেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

এফএইচ/জেএইচ/এমকেএইচ

Advertisement