পার্বত্য শান্তি চুক্তির ৭২টি ধারার মধ্যে ইতোমধ্যে ৬৩টি বাস্তবায়িত হয়েছে, ৯টি ধারা বাস্তবায়নের জন্য প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়কমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২২ বছরপূর্তি উপলক্ষে সচিবালয়ে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা জানান। তিনি বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসতে হবে। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে চলমান সংঘাত নিরসনে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি করেন। ফলে পাহাড়ে সূচিত হয় শান্তি, সম্প্রীতি ও নব যুগের সূচনা।’ মন্ত্রী বলেন, ‘কোন অঞ্চলকে পিছিয়ে রেখে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন হয় না। এ উপলব্ধি থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য শান্তি চুক্তির উদ্যোগ নেন। ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটে ১৯৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি খাগডাছড়ি জেলা স্টেডিয়ামে শান্তি বাহিনীর সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিানার হাতে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করেছিলেন।’ ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ফলে পাহাড়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। কৃষক তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে। পর্যটন শিল্পের বিকাশ সাধিত হচ্ছে, ফলে স্থানীয় অর্থনীতি বিকশিত হচ্ছে।’ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মেসবাহুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় জাতিসংঘের কৃষি ও খাদ্য সংস্থার (এফএও) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রবার্ট ডগলাস সিম্পসন, অতিরিক্ত সচিব সুদত্ত চাকমা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আরএমএম/জেএইচ/এমএস
Advertisement