সময় ও সুযোগ- দুটিই ছিলো। কিন্তু দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে ব্রায়ান লারার করা ৪০০ রানের রেকর্ডের পেছনে ছোটা হয়নি ডেভিড ওয়ার্নারের। অথচ তখনও ম্যাচের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনও শেষ হয়নি। চাইলেই আরও কিছু সময় দেয়া যেতো ৪১৮ বলে ৩৩৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলা ওয়ার্নারকে।
Advertisement
এতে অবশ্য মোটেও অখুশি নন ওয়ার্নার। বরং দলের পক্ষ থেকে বাড়তি তিন মিনিট দেয়ায় উল্টো ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি। জানিয়েছেন স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের রেকর্ড ৩৩৪ রান টপকে যাওয়া তার জন্য অনেক বড় সম্মান। তাই ব্রায়ান লারার রেকর্ড অক্ষত থাকলেও তার কোনো সমস্যাই নেই।
তাহলে কী আর কখনোই ভাঙা হবে না লারার রেকর্ড। সব দলই যদি এভাবে কাছাকাছি গিয়ে ইনিংস ঘোষণা করে দেয়, তাহলে তো আজীবনই থেকে যাবে লারার ৪০০ রানের রেকর্ড। কেউই পারবে না এটিকে ভেঙে ৪০০’র বেশি রান করতে। ওয়ার্নার অবশ্য এমনটা মানতে রাজি নন।
তার মতে ব্যক্তিগতভাবে চেষ্টা করলেই হয়তো করা যাবে ৪০০ রান। আর এক্ষেত্রে তিনি এগিয়ে রেখেছেন ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মাকে। ওয়ানডে ক্রিকেটে একাই ৩টি ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন রোহিত। যা কি না বিশ্বরেকর্ড। তার পক্ষে লারার ৪০০ রানের রেকর্ড ভাঙাও সম্ভব হতে পারে বলে মনে করেন ওয়ার্নার।
Advertisement
ফক্স স্পোর্টসকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, এ বিষয়টা পুরোপুরি ব্যক্তি খেলোয়াড়ের ওপর। আমাদের এখানে যেমন অনেক বড় বাউন্ডারি। যার ফলে প্রায়ই এটা কঠিন হয়ে যায়। বিশেষ করে যখন ক্লান্তি ভর করে, তখন বড় শট খেলা যায় না। যে কারণে শেষ দিকে আমি বাউন্ডারির চেয়ে দুই রান করে নেয়ার দিকে মনোযোগ দেই। আমি তখন নিশ্চিত ছিলাম না, আসলেই বাউন্ডারি পার করতে পারব কি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, একদিন হবে (লারার রেকর্ড ভাঙা)। আমাকে যদি কারও নাম বলতে বলা হয়, আমি মনে করি এটা অবশ্যই রোহিত শর্মা করতে পারবে।’
এসময় নিজের ৩৩৫* রানের ইনিংসের পেছনে ভিরেন্দর শেবাগের অবদানের কথা উল্লেখ করেন ওয়ার্নার। তিনি বলেন, ‘শুরুতে আমি অনেকটা গিনিপিগের মতো ছিলাম। যে কি না উইকেটে গিয়ে নিজের ইচ্ছেমত খেলে চলে আসতো। পরে আমি যখন দিল্লির হয়ে আইপিএল খেলতে গেলাম, তখন শেবাগের সঙ্গে দেখা হয়। শেবাগ আমাকে নিয়ে আলাদা করে বসে। তখন সে আমাকে বলে যে, আমি চাইলেই টি-টোয়েন্টির চেয়ে ভালো টেস্ট ব্যাটসম্যান হতে পারবো।’
এসএএস/জেআইএম
Advertisement