লেনদেন-বেচাকেনা ইত্যাদি বিনিময়ের ক্ষেত্রে পরস্পরের ধোকা ও প্রতারণার আশ্রয় নেয়াকে ইসলাম হারাম করেছে। বিনিময়কৃত জিনিসের পরিচয়, বর্ণনায় ভুল প্রচারণাও ইসলামে গর্হিত কাজ। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, তিন বলেন, একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কোনো এক খাদ্যবস্তুর স্তূপের নিকট দিয়ে যাওয়ার সময় এর ভিতরে হাত ঢুকিয়ে দিয়ে এর অভ্যন্তরে সিক্ত পেলেন। তখন তিনি বললেন, হে খাদ্যের মালিক! এটি কি? জবাবে খাদ্যের মালিক বলল, হে আল্লাহর রাসূল! বৃষ্টির কারণে এরূপ হয়েছে। এ কথা শুনে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-اَفَلَا جَعَلْتُهُ فَوْقَ الطَّعَامِ حَتَّي يَرَاهُ النَّاسُ مَنْ غَشَّ فَلَيْسَ مِنِّي - অর্থাৎ তুমি ভিজা খাদ্যশস্য উপরে রাখলে না কেন? তাহলে তো ক্রেতাগণ এর অবস্থা দেখতে পেত (প্রতারিত হতো না)। যে ধোঁকা দেয় সে আমার উম্মতের মধ্যে গণ্য হবে না। (মুসলিম, মিশকাত)ধোকা বা প্রতারণার ক্ষতিক. প্রতারণা মানুষকে জাহান্নামের পথে ঠেলে দেয়খ. প্রতারণা ব্যক্তির আত্মিক নীচুতা ও মানসিক কলংকের পরিচায়ক। সুতরাং চরম নীচু মানসিকতার লোকই কেবল তা করে থাকে এবং স্থায়ী ধ্বংসে পতিত হয়।গ. প্রতারক ক্রমে আল্লাহ ও মানুষ থেকে দূরে সরে যায়।ঘ. প্রতারণা দুআ কবুলের পথ বন্ধ করে দেয়।ঙ. প্রতারণায় সম্পদ ও বয়সের বরকত ধ্বংস করে দেয়।চ. এটা ঈমানের দুর্বলতা ও কমতির পরিচায়ক।পরিশেষে...যেহেতু আল্লাহ এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ধোঁকাবাজী ও প্রতারণাকে হারাম বলেছেন, সেহেতু এ থেকে বিরত থাকা প্রত্যেক মুসলমানের বিরত থাকা একান্ত আবশ্যকীয় কাজ। আল্লাহ সবাইকে এ কাজ থেকে হিফাজত করুন। আমিন।জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : jagoislam247@gmail.comজাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।# হৃদরোগ প্রতিকারে ইসলামএমএমএস/আরআইপি
Advertisement