আল্লাহর নিকট ইবাদত-বন্দেগি কবুল হওয়ার জন্য রিয়া তথা লোক দেখানো আমল পরিহার অপরিহার্য। রিয়া বা লৌকিকতামুক্ত আমলের নির্দেশনা এসেছে কুরআন-হাদিসে। হাদিসে কুদসিতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রিয়াকারীর ইবাদত-বন্দেগিকে ভয়ংকর হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। জাগো নিউজে তা তুলে ধরা হলো-عَنْ مَحْمُودِ بْنِ لَبِيدٍ رضي الله عنه أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ: إِنَّ أَخْوَفَ مَا أَخَافُ عَلَيْكُمْ الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ», قَالُوا: وَمَا الشِّرْكُ الْأَصْغَرُ يَا رَسُولَ اللَّهِ ؟ قَالَ: الرِّيَاءُ، يَقُولُ اللَّهُ -عَزَّ وَجَلَّ- لَهُمْ يَوْمَ الْقِيَامَةِ - إِذَا جُزِيَ النَّاسُ بِأَعْمَالِهِمْ-: اذْهَبُوا إِلَى الَّذِينَ كُنْتُمْ تُرَاءُونَ فِي الدُّنْيَا فَانْظُرُوا هَلْ تَجِدُونَ عِنْدَهُمْ جَزَاءً . (مسند أحمد ) - صحيحঅর্থাৎ ‘হজরত মাহমুদ ইব্ন লাবিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ‘আমি তোমাদের ওপর যা ভয় করি তার মধ্যে সবচেয়ে ভয়ংকর হচ্ছে শিরকে আসগর তথা ছোট শিরক। তারা (সাবায়ে কেরাম) বলল: হে আল্লাহর রাসূল শির্কে আসগর কি? তিনি বললেন: “রিয়া (লোক দেখানো আমল), আল্লাহ তাআলা কিয়ামতের দিন তাদেরকে (রিয়াকারীদের) বলবেন, যখন মানুষকে তাদের আমলের বিনিময় দেয়া হবে। তোমরা তাদের কাছে যাও, যাদেরকে তোমরা দুনিয়াতে (ইবাদত করে) দেখাতে, দেখ তাদের কাছে থেকে (ইবাদতের) কোনো প্রতিদান পাও কিনা।’ (মুসনাদে আহমদ)পরিশেষে...প্রত্যেক মুসলমানের উচিত ছোট-বড় সব ধরনের শিরক থেকে বেঁচে থাকা। প্রত্যেক মুসলমানের উচিত রিয়া থেকে বেচে থেকে আল্লাহ তাআলার জন্য ইবাদত করা। আল্লাহ আমাদের ইবাদত-বন্দেগিকে কবুল করুন। আমিন।জাগো ইসলামে লেখা পাঠাতে ই-মেইল : jagoislam247@gmail.comজাগোনিউজ২৪.কমের সঙ্গে থাকুন। কুরআন-হাদিস মোতাবেক আমলি জিন্দেগি যাপন করে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করুন। আমিন, ছুম্মা আমিন।এমএমএস/আরআইপি
Advertisement