সাজিদ রহমান একজন তরুন লেখক। মাত্র পয়ত্রিশ বছর বয়সে এই তরুণ লেখক পাঠক সমাজে একটি পরিচিত নাম। শহরের জঞ্জাল আর পারিবারিক ঝামেলা থেকে সরে সাজিদ রহমান লেখালেখির বেশ কিছু কাজ নিয়ে এই নিরিবিলি যায়গাটায় এসেছেন তার সামনের কাজগুলো শেষ করার জন্য।
Advertisement
চিন্তার বিষয় হলো আজ তিনদিন ধরে তিনি এখানে আছেন কিন্তু এক কলম লেখাও তার হাত থেকে বের হয়নি। তিনি খুবই মানসিক যন্ত্রনার মধ্যে সময় পার করছেন। চিন্তা করে পাচ্ছেন না তিনি কি তাহলে কোনো রোগে ভুগছেন!
সারাটাদিন হোটেল রুমেই কেটে যায় তার। দিস্তার পর দিস্তা কাগজ শেষ হয়ে যায় কিন্তু লেখার মত লেখা আর আসে না। সারাদিন যা লেখে দিনের শেষে মেজাজ খারাপ করে সব লেখা কুটি কুটি করে বাতাসে উড়িয়ে দেয়।
সে শুরু করেছিলো একটা ভালোবাসার গল্প যেখানে তার নায়িকা একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। কি করবে এখন নায়িকা? কিভাবেই বা এগুবে তার গল্প, সে কিভাবে খুঁজে পাবে তার ভালোবাসার মানুষকে? এই ভেবে ভেবেই তার সারাটা দিন শেষ।
Advertisement
সেদিন সন্ধ্যা বেলা ভীষন মন খারাপ করে সাজিদ রহমান সমুদ্রের পাড়ে দাড়িয়ে থাকে। ভাবছে সমুদ্র পাড়ে দাড়িয়েই সে কাটিয়ে দেবে আজ সারাটা রাত। আকাশের জোৎস্না আর সমুদ্রের ঢেউয়ের গর্জন থেকে শুষে নেবে সে তার গল্প। প্যাকেট থেকে বের করে কেবল একটা সিগারেট ধরাতে যায়। হঠাৎ তখন পিছন থেকে কেউ একজন এসে তার সিগারেটটা কেড়ে নিয়ে কড়া গলায় কিছু কঠিন বাক্য শুনায়। সাজিদ অবাক হয়ে তাকায় মেয়েটির দিকে। মেয়েটি তাকে বলে, ‘তোমাকে না কতবার বলেছি, সিগারেট খাবে না। সিগারেটের গন্ধ আমার একদম সয্য হয় না।’
মেয়েটির নাম রিমি। সাজিদের প্রেমিকা। সাজিদ তার উপন্যাসের নায়িকার নামও দিয়েছিলো তারই নামে। লেখালেখির যন্ত্রণার কথা ভুলে গিয়ে সাজিদ হারিয়ে যায় প্রেমিকার ভেতরে।
এই প্রেমিকাকে নিয়ে সে ঝামেলায় পড়ে যায়। অস্বাভাবিক স্বভাবের রিমিকে নিয়ে হিমশিম খায় সাজিদ। সে কী পারবে প্রেমিকাকে আগলে তার গল্প শেষ করতে? নাকি আরও ঝামেলায় তলিয়ে যাবে? শেষটা দেখতে হবে নাটক ‘সন্ধ্যা বেলার উপাখ্যান’।
আসাদুজ্জামান সোহাগের রচনায় এটি নির্মাণ করেছেন সাখাওয়াত মানিক। এখানে সাজিদ চরিত্রে অভিনয়ে এফএস নাঈম। আর তার প্রেমিকা চরিত্রে দেখা যাবে অপর্ণা ঘোষকে। এছাড়াও একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন রাশেদ মামুন অপু।
Advertisement
আগামীকাল ১ ডিসেম্বর রাত ৯টা ৫ মিনিটে ‘সন্ধ্যে বেলার উপাখ্যান’ প্রচার হবে বাংলাভিশনে।
এলএ/এমএস