লাইফস্টাইল

দিনে কতটুকু রসুন খাওয়া প্রয়োজন?

রসুনের ঝাল ঝাল ভর্তা দিয়ে একথালা গরম ভাত নিমিষেই শেষ করে দিতে পারেন ভোজনরসিক বাঙালিরা। এছাড়াও মাছ-মাংসসহ বেশিরভাগ রান্নায়ই রসুনের ব্যবহার করা হয়। রসুনের সম্পর্কে আবার অনেকের ধারণা এমন যে, এটি খেলে শরীর গরম হয়ে যেতে পারে, যা আমাদের জন্য খারাপ। তাই রসুন খাওয়া কতটা উপকারী, দিন কতটুকু রসুন খাওয়া উচিত তা জেনে নিন-

Advertisement

রসুনের কিছু গুণ:আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার রাখার কাজে সাহায্য করে রসুন। তাই মুখে বা ত্বকে নানা র্যাশ, চুলকানি প্রায়শই যদি ব্লাড ইমপিয়োরিটির কারণে হয়, তাহলে প্রতিদিন রসুন খেতে পারেন। রোজ দুইকোয়া রসুনই এর জন্য যথেষ্ট। সকালে এই কাঁচা রসুনের সঙ্গে খেতে হবে প্রচুর পানি।

রসুনের মধ্যে নানা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায়, রোজ অল্প রসুন খাওয়াই যায়। কোলেস্টেরল ছাড়াও এটি নিয়ন্ত্রণে রাখে রক্তে সুগারের মাত্রা। এতে রয়েছে হাই সালফারও। তবে বেশি রান্না করলে রসুনে থাকা অ্যালিসিন নষ্ট হয়ে যায়।

শরীরের টক্সিন বের করতেও সাহায্য করে রসুন। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে অর্ধেকটা লেবুর রস আর দু’কোয়া রসুন কুচি গুলে খেলে শরীর থেকে বেরিয়ে যায় ক্ষতিকর টক্সিন।

Advertisement

ঠান্ডার সমস্যায় রসুন খুবই উপকারী। গার্লিক টি বানিয়ে খেতে পারেন। গরম পানিতে থেঁতো করা রসুন ফুটিয়ে নিয়ে, তারপর ছেঁকে পান করতে হবে। আবার প্রথম পাতে গরম ভাতের সঙ্গে ঘিয়ে ভাজা রসুন খেতে পারেন। ঠান্ডা লাগা তো কমবেই, সাইনাসাইটিসের কষ্ট থেকেও রেহাই মিলবে।

কাঁচা খাওয়া হোক কিংবা রান্না করা প্রতিদিনের তালিকায় রসুন থাকলে তা কোলেস্টেরল কমায়। ভালো থাকে হার্ট।

রসুনের মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টি প্যারাসাইটিক গুণাগুণ। শরীরে খারাপ ব্যাকটিরিয়া, ফাঙ্গাস আর প্যারাসাইটের মোকাবিলা করতে অ্যান্টিবায়োটিক হিসেবে রসুন খাওয়া হয়।

প্রতিদিন রসুন খেলে বিশেষ কিছু ধরনের ক্যান্সারের মোকাবিলা করা যায়। স্টম্যাক ও কোলোরেকটাল ক্যান্সারের আশঙ্কাও কমায় রসুন।

Advertisement

ব্রণ হলে ব্রণের মুখে রসুন কেটে খানিকক্ষণ ধরে রাখলে জ্বালা কমে। আবার ত্বকের কোলাজেন রক্ষা করতে সাহায্য করে বলে রসুনকে বলা যেতে পারে অ্যান্টিএজিংয়ের অন্যতম দাওয়াই।

খেয়াল রাখতে হবে কিছু বিষয়ে:রসুন খেলে তা কাঁচা কিংবা অল্প ভেজে নিয়ে খাওয়াই ভাল। রান্নার মশলায় বেটে দেওয়া রসুনে খাবারের স্বাদ বাড়ে ঠিকই, কিন্তু তাতে পুষ্টিগুণ তেমন থাকে না বললেই চলে।

রসুন খেতে হলে দিনে দুই-তিন কোয়ার বেশি না খাওয়াই ভালো। এর চেয়ে বেশি রসুন খেতে হলে চিকিৎসক এবং ডায়াটিশিয়ানের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরি।

যেকোনো সার্জারি বা অপারেশনের আগে অনেক সময়ে চিকিৎসকেরা রসুন খেতে নিষেধ করেন। ফলে সে দিকেও খেয়াল রাখতে হবে।

রসুন শরীর গরম রেখে ঠান্ডা লাগার ধাত কমায়। তবে হাঁপানির সমস্যা থাকলে রসুন খাওয়ার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। কারণ সে ক্ষত্রে নানা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হতে পারে।

এইচএন/এমএস