গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের জন্য অনেক সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় সিদ্ধান্তে বাংলাদেশের ইতিহাসে এ প্রথমবার রাষ্ট্রীয় খরচে আলেম ওলামাদের হজে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এ ধারা অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) ছারছীনা দরবার শরীফের ১২৯তম বার্ষিক মাহফিলে প্রথম দিনে পবিত্র জুমার নামাজ বাদ মাহফিল মঞ্চে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
Advertisement
এসময় মন্ত্রী বলেন, দেশের এক পঞ্চমাংশ লোক ইসলামী শিক্ষায় পড়াশোনা করেন। সেই কারণে আওয়ামী লীগ সরকার কওমি মাদরাসা শিক্ষাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। কওমির সর্বোচ্চ শিক্ষাকে আমাদের সরকার এমএ পাসের মর্যাদা দিয়েছেন। যাতে করে ওই শিক্ষায় শিক্ষিত মাদরাসার শিক্ষার্থীরাও প্রশাসনসহ সরকারের উচ্চ পদে চাকরি করার সুযোগ পায়।
মন্ত্রী বলেন, একটা জীবনের জন্য যা কিছু নির্দেশনা সবকিছু পবিত্র কুরআন শরীফে দেয়া আছে। যা রাসূলুল্লাহ (স.) এর সহীহ হাদীসেও স্পষ্ট উল্লেখ আছে। আমরা ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে ইসলামি শিক্ষাকে সংক্রীর্ণ মনে করি। ইসলামি শিক্ষা থেকে আমরা আদব কায়দা, নৈতিকতাসহ চলার পথের যাবতীয় সব কিছু শিখতে পারি। যা অন্য কোথাও নেই। এজন্য আমরা বলবো ধর্মীয় অনুশাসন মেনে আমাদের চলা উচিত।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ অনুসরণ করে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্পষ্ট করে বলেছেন এ দেশে ইসলাম পরিপন্থী কোনো আইন বাস্তবায়ন করা হবে না। মন্ত্রী বলেন, ৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু ওআইসি সম্মেলনে যোগদানের মাধ্যমে মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরেই তার কন্যা ইসলামের খেদমত করে যাচ্ছেন। আইএস এর উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, কিছু লোক ইসলামের অপব্যাখ্যা করে জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডসহ নানা অপকর্ম করার চেষ্টা করছে।
Advertisement
এর আগে ছারছীনা পীর ছাহেবের বড় ছাহেব জাদা শাহ মোহাম্মদ হুসাইন বলেন, ছারছীনা দরবার একটি দ্বীনের দরবার। এ দরবার কোনো রাজনীতি করে না। যারা দেশ ও দেশের মানুষের সর্বদা ভালো চিন্তা করে আমরা তাদের সর্বদা মঙ্গল কামনা করি।
মন্ত্রীর বক্তব্য শেষে দেশ জাতি ও বিশ্ব মুসলিম উম্মার কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত পরিচালনা করেন আমিরে হিযবুল্লাহ ছারছীনার পীর সাহেব হযরত মাওলানা শাহ মা. মোহেব্বুল্লাহ (মা.জি.আ.)।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, জেলা প্রশাসক আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন, পুলিশ সুপার হায়াতুল ইসলাম খান প্রমুখ।
মাহামুদুর রহমান মাসুদ/এমএএস/এমএস
Advertisement