রাজধানীর আজিমপুর কবরস্থানে অগ্রনী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সীমানা প্রাচীর সংলগ্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আজ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ৭টায় বিস্ময় দৃষ্টিতে একটি গাছের দিকে তাকিয়ে আছে আনুমানিক ৫-৬ বছর বয়সী এক ছেলে। সে তার বাবার কাছে জানতে চাইলো, ‘বাবা, বটগাছের ভেতর খেজুর গাছ কীভাবে জন্ম নিল?’
Advertisement
ছেলের প্রশ্নের জবাব দিতে নিজেও গাছটির দিকে অনেকক্ষণ তাকিয়ে থাকলেন তিনি। দেখলেন, বিশাল বাটগাছটি দশ থেকে বারো ফুট পর্যন্ত ডালপাতা ছড়িয়ে ওপরের দিকে উঠে গেছে। তারপরই দেখা যায়, তার ভেতর থেকে একটি খেজুর গাছ বেরিয়ে বটগাছের সাথে পাল্লা দিয়ে ডালপালাসহ ওপরের দিকে উঠছে। বটগাছের বুক চিড়ে বড় হওয়া খেজুর গাছটি দেখে বিস্মিত হচ্ছে আজিমপুর কবরস্থানে স্বজনকে দাফন ও কবর জিয়ারত করতে আসা হাজারও মানুষ। সবার প্রশ্ন, বটগাছের মধ্যে খেজুর গাছটি জন্মালো কীভাবে?
এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে কবরস্থানে কর্মরত ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) কয়েকজন কর্মচারীর সঙ্গে আলাপকালে তাদেরই একজন আবদুল খালেক জানান, এ জায়গায় প্রথমে লম্বা একটি খেজুর গাছই ছিল। পরবর্তীতে ৭-৮ বছর আগে খেজুর গাছটির পাশে একটি বটগাছের চারা দেখা যায়। পাশাপাশি জায়গায় দুটি গাছই বড় হতে থাকে। এক পর্যায়ে খেজুর গাছটি বটগাছের কাণ্ডের মধ্যে ঢাকা পড়ে। কিছুদিন খেজুর গাছটি আর চোখে পড়েনি কারও। হঠাৎ করেই খেজুর গাছটি বটগাছের খোঁড়ল থেকে মাথা উঁচু করে বের হয়ে ওপরের দিকে উঠতে থাকে। ডালপালা ছড়িয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেয়।
খালেক জানান, প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ খেজুর গাছটি দেখে এটি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বটগাছের ডালে রোপিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেন। কেউ বা এটা আল্লাহর বিস্ময়কর সৃষ্টি বলে মন্তব্য করেন বলে জানান তিনি।
Advertisement
সপ্তাহের অন্য আর যেকোনো দিনের চেয়ে শুক্রবার আজিমপুর কবরস্থানে জনসমাগম বেশি থাকে। অনেকেই বটগাছের মধ্যে খেজুর গাছটি দেখে যান। তাদেরই একজন আজিপুরের বাসিন্দা আজমত হোসেন। এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বয়স প্রায় ৫০ হতে চলেছে। কিন্তু কখনও বটগাছের মধ্যে খেজুর গাছ জন্মাতে দেখেননি। এ গাছটির বিশেষ যত্ন নেয়া উচিত বলে তিনি মন্তব্যে করেন।
এমইউ/এমএসএইচ/পিআর