জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা গ্রহণের ক্ষেত্রে যে কাউকে দূতাবাস সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ। বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) মিনি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা বিষয়ক ‘হায়ার স্টাডিজ অ্যান্ড বিয়োন্ড ফর জার্মানি’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ কথা জানান।
Advertisement
তিনি বলেন, জার্মানিতে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা উচ্চশিক্ষা ও গবেষণায় আগ্রহী তাদের জন্য নতুন সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে উচ্চশিক্ষা ও নতুন ভাষা জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে পার্সোনালিটি ডেভেলপমেন্টসহ সার্বিক উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন করবে।
জার্মান রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ দ্রুত মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হচ্ছে। বর্তমানে বাংলাদেশ থেকে জার্মানিতে যাওয়ার প্রবণতার হার ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার ২০০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ও গবেষক জার্মানে উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার জন্য পাড়ি জমিয়েছে। যেখানে এ সংখ্যা গত বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ থেকে উন্নীত হয়ে ৩০ শতাংশে পৌঁছেছে।
সেমিনারে জার্মানিতে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন জার্মান একাডেমিক একচেঞ্জ সার্ভিসের (ডিএএডি) বাংলাদেশ প্রতিনিধি রুমানা কবির এবং বাংলাদেশে অবস্থিত জার্মান দূতাবাসের সংস্কৃতি ও শিক্ষা বিষয়ক কর্মকর্তা তামারা কবির।
Advertisement
ঢাকায় অবস্থিত জার্মান দূতাবাস এবং জার্মান একাডেমিক একচেঞ্জ সার্ভিসের (ডিএএডি) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে যৌথভাবে সার্বিক সহযোগিতায় ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিউরেন্স সেল (আইকিউএসি) এবং আধুনিক ভাষা ইনস্টিটিউট (আইএমএল)।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সৈয়দা মারজানা রাজ্জাকের সঞ্চালনায় সেমিনারে আরও বক্তব্য দেন আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আশরাফুল আলম, আইএমএল’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর তৈমুর প্রমুখ।
এর আগে সকাল ১০টায় শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ আহমেদের সঙ্গে তার অফিসে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জার্মান রাষ্ট্রদূত পিটার ফারেনহোল্টজ।
এ সময় শিক্ষা ও গবেষণাসহ পারস্পারিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়াদি নিয়ে উভয়ে মতবিনিময় করেন। উপচার্য রাষ্ট্রদূতকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জার্মানিতে লেখাপড়ার মান বেশ ভাল। তাই বাংলাদেশের প্রচুর শিক্ষার্থী প্রতিবছর জার্মানিতে পড়তে যায় এবং তারা দেশে ফিরে এসে উন্নয়ন কর্মকান্ডে ভূমিকা রাখছে।
Advertisement
আরএআর/পিআর