তেহরান সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতা থেকে বিতাড়িত করার লক্ষ্যে ইরাকের বিক্ষোভকারীরা এবার দেশটির নাজাফ শহরে অবস্থিত ইরানি কনস্যুলেট আগুন দিয়ে পুড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীদের আগুনে ইরানি কনস্যুলেট পুড়ে যাওয়ার পর ইরাকের নিরাপত্তাবাহিনী গুলি চালিয়ে অন্তত ১৬ জনকে হত্যা করেছে। দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর নাসিরিয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। অন্যদিকে নাজাফে কারফিউ জারি করা হয়েছে।
Advertisement
দেশটিতে চলমান বিশৃঙ্খলা দমনে সামরিক-বেসামরিক যৌথ ক্রাইসিস সেল গঠন করেছে ইরাকি কর্তৃপক্ষ। শিয়া মুসলিম ধর্মীয় স্থাপনায় যেকোনো ধরনের হামলা ঠেকাতে বলপ্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইরাকের প্যারামিলিটারি বাহিনীর কমান্ডার।
কয়েক সপ্তাহের বিক্ষোভ-সহিংসতার পর বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীরা ইরাকের দক্ষিণাঞ্চলীয় পবিত্র নগরী নাজাফে ইরানের কনস্যুলেটে আগুন দিয়েছে। তবে ওই সময় কনস্যুলেটের ভেতরে কেউ না থাকায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
বাগদাদের দুর্নীতিগ্রস্থ ও ইরান সমর্থিত ক্ষমতাসীন সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার লক্ষ্যে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিক্ষোভ করে আসছেন হাজার হাজার ইরাকি। বৃহস্পতিবারের বিক্ষোভ থেকে ইরানের কনস্যুলেটে বিক্ষোভকারীদের অগ্নিসংযোগের ঘটনাকে তেহরানবিরোধী তীব্র মনোভাবের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করা হচ্ছে।
Advertisement
সঙ্কট মোকাবেলায় ইরাক সরকার ও দেশটির রাজনৈতিক নেতৃত্বের নিস্ক্রিয়তা সাধারণ জনগণের ক্ষোভকে তীব্র করেছে। ইরাকের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি দেশটির নির্বাচন ব্যবস্থা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে ব্যাপক সংস্কারের অঙ্গীকার করেছেন।
কিন্তু তার মাঝেই হাজার হাজার বিক্ষোভকারীর সঙ্গে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সংঘর্ষ-সংঘাত শান্তিপূর্ণ সমাধানে বাধা তৈরি করেছে। বৃহস্পতিবার বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় গুলি বর্ষণ করেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এতে অন্তত ১৬ বিক্ষোভকারীর প্রাণহানি ঘটেছে। গত ১ অক্টোবর থেকে রাজধানী বাগদাদে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হলেও ক্রমান্বয়ে তা দেশটির দক্ষিণাঞ্চলীয় শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
সূত্র : রয়টার্স, এএফপি।
এসআইএস/এমকেএইচ
Advertisement