জাগো জবস

চাকরির আবেদনে থাকবে না সত্যায়ন

সরকারি চাকরির আবেদন মানেই একগাদা কাগজপত্র প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তাকে দিয়ে সত্যায়িত করতে হবে। এনিয়ে বিড়ম্বনারও শেষ ছিলো না। বিষয়টি কর্মকর্তার বিরক্তির কারণও ছিলো। অনেক সময়ে সত্যায়িত করতে না পারায় যথাসময়ে আবেদন পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। ফলে চাকরিটাই হাতছাড়া হয়ে গেছে। অনেকে আবার বিড়ম্বনা এড়াতে মিথ্যা সত্যায়নের আশ্রয় নিয়েছেন।এবার আশার কথা হচ্ছে, সরকারি চাকরির আবেদনে কোনো সনদের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে না। লাগবে না সত্যায়িত ছবিও। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলে মৌখিক পরীক্ষার সময় মূল সনদ দেখাতে হবে।জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, সরকার ধীরে ধীরে বিভিন্ন কাজে সত্যায়নের বাধ্যবাধকতা তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে। তবে কিছু স্পর্শকাতর বিষয়ের ক্ষেত্রে এটা বহাল থাকবে। এখন থেকে চাকরিপ্রার্থীদের নির্ধারিত একটি ফরমে আবেদন করতে হবে। চার কপি রঙিন ছবি ছাড়া আবেদনের সময় আর কোনো কাগজপত্র দিতে হবে না। শুধু অঙ্গীকারনামায় প্রার্থীকে স্বাক্ষর করতে হবে, যেখানে লেখা থাকবে, ‘ওপরে বর্ণিত তথ্যাবলি সম্পূর্ণ সত্য। মৌখিক পরীক্ষার সময় উল্লিখিত তথ্যগুলো প্রমাণের জন্য সব মূল সনদ ও রেকর্ডপত্র উপস্থাপন করব। কোনো তথ্য অসত্য প্রমাণিত হলে আইনানুগ শাস্তি ভোগ করতে বাধ্য থাকব।’এছাড়া অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেলে সরকার ‘শ্রেণি’ তুলে দিয়ে গ্রেডের ভিত্তিতে কর্মীদের মর্যাদা নির্ধারণের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা বলে কিছু থাকছে না। সে জন্য সত্যায়নের কাজটি কোন গ্রেডের কর্মকর্তা করবেন, তা এখন পর্যন্ত নির্ধারণ করেনি সরকার।এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ মোশাররাফ হোসাইন ভূইঞা বলেন, সব কাজে সত্যায়নের যে বাধ্যবাধকতা তা তুলে দেওয়া উচিত। সত্যায়িত করার প্রয়োজন হলে তা যেকোনো রেসপেক্টেড পারসনও করতে পারেন। নাগরিক তথ্য ‘ডিজিটালাইজড’ হয়ে গেলে কয়েক বছর পর এসব সত্যায়নের আর প্রয়োজন হবে না।# ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশনে চাকরি# উপজেলা পরিষদে চাকরি# জনবল নেবে বিআরটিএ# র‌্যাংগস মটরসে চাকরির সুযোগ# জনবল নেবে প্রাণ গ্রুপ# এশিয়া প্যাসিফিক মেডিকেলে চাকরি# জনবল নেবে এসিআইএসইউ/আরআইপি

Advertisement