ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া ঘাটে। সোমবার দুপুরের পর থেকে লঞ্চ ও ফেরিতে যানবাহন এবং যাত্রীদের উপচে পড়া ভীড় দেখা গেছে। ফিরতি পথে পারাপারে কোনো ভোগান্তির অভিযোগ নেই। তবে পাটুরিয়া ঘাটে পরিবহনে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।সোমবার সরেজমিনে পাটুরিয়া ঘাটে গিয়ে দেখা যায়,দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি লঞ্চেই যাত্রীদের বেশ চাপ রয়েছে। যানবাহন বোঝাই করে ফেরিগুলোও ঘাটে ভিড়ছে। ফেরিতে ছোট গাড়ি পার হচ্ছে বেশি। কয়েকজন যাত্রী জানান, এবার ফিরতি পথে নদী পারাপারে তেমন ভোগান্তি নেই। তবে পরিবহনে বেশি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ তাদের।খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, পাটুরিয়া ঘাটে নবীনবরণ, যাত্রী সেবা এবং সরকারি পরিবহন বিআরটিসিতেও বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। নবীনবরণ ও যাত্রী সেবা শ্রমিকদের যেখানেই যাবেন ১৫০ টাকা ভাড়া বলে যাত্রীদের ডাকতে দেখা গেছে। ১০০ টাকা ভাড়া নিয়ে প্রকাশ্যে বাসের ছাদে যাত্রী তোলা হচ্ছে। বিআরটিসি বাসেও গাবতলী পর্যন্ত ভাড়া নেয়া হচ্ছে ১০০ টাকা।নবীনগরগামী যাত্রী ফাতেমা বেগম জাগো নিউজকে জানান, তিনি গার্মেন্টসে চাকরি করেন। নবীনগর নামতে হবে। কিন্তু তার কাছে ভাড়া চাওয়া হচ্ছে ১৫০ টাকা। অথচ অন্য সময় তিনি বাসের ভাড়া দেন মাত্র ৫০ টাকা।সোহেল মিয়া নামে এক যাত্রী জাগো নিউজকে জানান, ঈদের ছুটিতে বাড়িতে বেশি খরচ হয়ে গেছে। রাস্তায় যা খরচ হবে তাই নিয়ে বের হয়েছি। কিন্তু এখন বাসের অতিরিক্ত ভাড়া দিতে গিয়ে টাকা শেষ। বাকি রাস্তা কিভাবে যাবো তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি।গাবতলীগামী যাত্রী আকমল হোসেন ক্ষোভের সঙ্গে জানান, প্রকাশ্যে যাত্রীদের জিম্মি করে বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে অথচ প্রশাসনের কোনো তৎপরতা দেখছি না।পরিবহনে বেশি ভাড়া আদায় ও ছাদে যাত্রী পরিবহনের বিষয়ে জানতে চাইলে ঘাটে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট আবুল বাশার জাগো নিউজকে জানান, খুব একটা বেশি ভাড়া আদায় করা হচ্ছে না। যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় বাসের ছাদে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে। তবে সবাইকে ছাদে যাত্রী না তুলতে নিষেধ করা হয়েছে।লঞ্চ ও ফেরি কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে,আগামী শনিবার পর্যন্ত কর্মস্থলমুখী যাত্রীদের এই চাপ অব্যাহত থাকবে।উল্লেখ্য, পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌ-রুটে বর্তমানে ছোট বড় ১৮টি ফেরি এবং ২১টি লঞ্চ যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে নিয়োজিত রয়েছে।এসএস/এমএস
Advertisement