পিঠ বা কোমরে ব্যথায় ভুক্তভোগীর সংখ্যা কম নয়। একটানা বসে কাজ করতে গিয়ে এই অসুখ আরও মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। বসে কাজ করার সময় মেরুদণ্ডের যো জোর ও পেশীগুলির যে শক্তি প্রয়োজন হয়, তার অনেকটাই হারিয়ে ফেলি আমরা। সঠিক যত্নের অভাবে এসব ব্যথা আমাদের সহজেই কাবু করে ফেলে।
Advertisement
প্রতিদিনের রুটিনে এমনকিছু কাজ রাখুন যা পেশী ও হাড়কে মজবুত করে ব্যথা সরাতে বিশেষ কাজে আসবে। মূলত পাঁচটি বিষয়ের উপর জোর দিলেই দিনের শেষে অনেকটা সুস্থ থাকবেন-
শরীরচর্চা: হাড়, পেশী ও মেরুদণ্ড ভালো রাখতে সবচেয়ে উপকারী হলো শরীরচর্চা। বিশেষজ্ঞ ট্রেনারের কাছ থেকে শরীরের গড়ন ও ধরন বুঝে জেনে নিন প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। এছাড়া দৌড়নো, জগিং কিছু স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ ব্যথা সারাতে ও পেশীর জোর বাড়াতে বিশেষ কাজে আসে।
ডায়েট: ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ খাবার হাড় ও পেশীর জোর বাড়ায়। হাড়ের ভঙ্গুরতা রোধ করে। সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার চেয়ে এসব খাবারে পেশীকে মজবুত রাখা বুদ্ধিমানের কাজ। ঠিকঠাক ডায়েট ও ব্যায়ামের কারণে ওজনও কম থাকবে। ওজন কম রাখলে হাঁটু ও কোমরের উপর বেশি ভার না পরায় তারা দীর্ঘ দিন মজবুত থাকবে।
Advertisement
ঠান্ডা-গরম সেঁক: ব্যথা হলে পেশীদের আরাম দিতে ও শরীরের প্রদাহ কমাতে ঠান্ডা ও গরম সেঁক দিন। একবার হট ওয়াটার ব্যাগ ব্যথার জায়গায় ধরে থাকুন ১৫ সেকেন্ডের মতো। তারপর আবার সেখানে ১৫ সেকেন্ডের জন্য কোল্ড ব্যাগ সেঁক দিন। এভাবে মিনিট দশ-পনেরো সেঁক দেওয়ার ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে, পেশীকে শিথিল করবে। এদের হাত ধরেই কমবে ব্যথা।
ঘুম: ক্রনিক ব্যথায় যারা ভোগেন, তারা প্রতিদিন প্রায় ৭-৮ ঘণ্টা নিয়ম করে ঘুমান। ঘুমানোর সময় শোয়ার ধরনও ঠিক রাখুন। অনেক সময় ভুল ধরন থেকেও পেশীতে ব্যথা হয়।
জুতা: কোমর ও পিঠে ব্যথা প্রায়ই হলে জুতা বদলাতে হবে। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে জুতা কিনুন। শুধু নরম চামড়াই নয়, জুতোর গ্রিপ, আকার সব কিছুই খতিয়ে দেখে কিনতে হবে।
এইচএন/এমকেএইচ
Advertisement