উত্তর ইউরোপের স্ক্যান্ডেনিভিয়ান দেশ নরওয়ে। দীর্ঘ দিন ধরে দেশটিতে ইসলাম ও মুসলমানদের চলাফেরা ও কার্যক্রম নিষিদ্ধে জোর দাবি ও প্রচেষ্টা করে যাচ্ছে ইমলাম বিদ্বেষী কিছু লোক ও সংগঠন।
Advertisement
সে ধারাবাহিকতায় কয়েক দিন আগে এক খ্রিস্টান পবিত্র কুরআনুল কারিমের একটি কপি জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় ওমর ইলিয়াস নামে এক মুসলিম যুবক প্রাণপণ চেষ্টা করে পবিত্র কুরআনের এ কপিটির হেফাজত করেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিশ্বব্যাপী ইলিয়াসের কাজ ব্যাপক প্রশংসিত হয়। সারা বিশ্বের নামি-দামি ইসলামিক স্কলার ও বুদ্ধিজীবীরা তাকে সাধুবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি ইসলাম বিদ্বেষীদের আক্রমণ থেকে ইলিয়াসের নিরাপত্তার ব্যাপারেও দাবি জানান।
বিশ্বব্যাপী ইসলামিক স্কলাররা ইসলাম ও ধর্মীয় গ্রন্থ হেফাজতের ব্যাপারে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান।
Advertisement
নরওয়ের যে স্থানটিতে পবিত্র কুরআন জ্বালিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল সে স্থানে অবিরাম কুরআন তেলাওয়াত হচ্ছে। মানুষ মনোযোগ সহকারে সে কুরআন তেলাওয়াত শুনছেন। এক ভিডিওতে দেখা গেছে এ দৃশ্য।
কুরআন অবমাননার চেষ্টার এ স্থানে উচ্চ আওয়াজের সাউন্ড বক্সের মাধ্যমে কুরআন তেলাওয়াত বাজানো হচ্ছে। ভিডিওতে দেখা যায়, অনেক মানুষ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পবিত্র কুরআনের সুরা হামিম আস-সাজদার আয়াতগুলো সাউন্ড বক্সের উচ্চ আওয়াজের তেলাওয়াত গভীর মনোযোগ দিয়ে শুনছেন।
কুরআন অবমাননার এ ঘটনায় বিশ্বব্যাপী রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে ইসলামিক স্কলার ও কুরআন প্রেমিক মুসলমান প্রতিবাদে সোচ্চার। তারা কুরআন অবমাননার ব্যাপারে যে কোনো শাস্তিমূলক পদক্ষেপ গ্রহণে এক ফ্ল্যাটফর্মে আসার জন্য আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজনের চেষ্টাও করে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে, নরওয়ের রাজধানী অসলোতে ‘স্টপ ইসলামাইজেশন’ নামে ইসলাম বিদ্বেষী দলটির প্রধান অ্যানা ব্রাটেন গত জুন মাসে প্রকাশ্য সমাবেশে পবিত্র কুরআনুল কারিম ছুড়ে ফেলে দেন।
Advertisement
অ্যানা ব্রাটেন ইসলাম, হিজাবসহ অনেক বিষয়ে দীর্ঘ সময় বক্তব্য দিতে থাকেন। পুলিশি প্রহরায় এ বক্তব্য দেয়া কালে হঠাৎই কুরআনের একটি কপি বের করেন।
উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা কুরআনের কপিটি সংরক্ষণে চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। এক পর্যায়ে অ্যানা ব্রাটেন পবিত্র কুরআনের কপিটি প্রতিবাদকারী মুসলিমের দিকে ছুড়ে ফেল দেন।
এমএমএস/জেআইএম