দেশজুড়ে

পিএসসি পরীক্ষায় নকলের ভিডিও ভাইরাল, তদন্ত কমিটি গঠন

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পিএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল সরবরাহের ঘটনায় তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

Advertisement

‘পিএসসি পরীক্ষায় নকলে মজেছে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা’ শিরোনামে জাগো নিউজে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। একই সঙ্গে পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল সরবরাহের একটি ভিডিও প্রচার হয়। এরই মধ্যে ওই ভিডিও এবং সংবাদটি ভাইরাল হয়ে যায়। বিষয়টি নজরে এলে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সাঘাটা উপজেলা প্রশাসন।

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী বলেন, কামালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে পিএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে নকল সরবরাহের একটি সংবাদ আমাদের চোখে পড়েছে। সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের একটি ভিডিও দেখেছি আমরা। ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

সাঘাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আহসান হাবীবকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।

Advertisement

রোববার (২৪ নভেম্বর) সারাদেশের মতো গাইবান্ধায়ও পিএসসির গণিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। সরেজমিনে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার কামালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পিএসসি পরীক্ষাকেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, যেন মাছের বাজার বসেছে।

পরীক্ষার্থীদের নকল সরবরাহ করতে শতশত অভিভাবক পরীক্ষাকেন্দ্রের আশেপাশে ঘোরাফেরা করছেন। সময়-সুযোগ পেলেই শিক্ষার্থীদের হাতে নকল ধরিয়ে দিচ্ছেন তারা।

নকল চলাকালীন পরীক্ষার পরিদর্শকরা থাকেন নীবর ভূমিকায়। কেন্দ্র সচিবও যেন নির্বাক। কেন্দ্রের ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মূর্তির মতো দাঁড়িয়ে থাকেন। কেউ কোনো প্রতিবাদ তো দূরের কথা পারলে নকলে সহায়তা করছেন সবাই।

অধিকাংশ পরীক্ষার্থী নকল করলেও কেন্দ্রের ইনচার্জের দায়িত্বে থাকা উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ ও কামালেরপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামালেরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষাকেন্দ্রের সচিব শাহিনুর ইসলাম সাজু কোনো পদক্ষেপ নেননি।

Advertisement

জাহিদ খন্দকার/এএম/পিআর