একুশে পদকজয়ী কবি ও স্থপতি রবিউল হুসাইনের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে তার বাসায় গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Advertisement
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসায় যান তিনি। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের প্রেস উইং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। প্রায় আধঘণ্টা কবির বাসায় উপস্থিত থেকে প্রধানমন্ত্রী কবির চিকিৎসার বিষয়ে এবং তার পরিবারের খোঁজ-খবর নেন।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান রবিউল হুসাইন। তার বয়স হয়েছিল ৭৬ বছর।
আগামীকাল বুধবার প্রথমে বাংলা একাডেমিতে এবং পরে সকাল সাড়ে ১০টায় শ্রদ্ধা জানাতে রবিউল হুসাইনের মরদেহ শহীদ মিনারে নেয়া হবে। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মসজিদে তার জানাজা হবে। বাদ জোহর মিরপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে।
Advertisement
রবিউল হুসাইন ১৯৪৩ সালে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় জন্মগ্রহণ করেন। ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৮ সালে একুশে পদক পাওয়া এই কবি মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের জন্যও কাজ করেছেন।
তিনি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্রের ট্রাস্টি, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নির্বাহী পরিষদের সদস্য।
রবিউল হুসাইনের লেখা উল্লেখযোগ্য বই হলো—‘কী আছে এই অন্ধকারের গভীরে’, ‘আরও ঊনত্রিশটি চাঁদ’, ‘স্থিরবিন্দুর মোহন সংকট’, ‘কর্পূরের ডানাঅলা পাখি’, ‘আমগ্ন কাটাকুটি খেলা’, ‘বিষুবরেখা’, ‘দুর্দান্ত’, ‘অমনিবাস’, ‘কবিতাপুঞ্জ’, ‘স্বপ্নের সাহসী মানুষেরা’, ‘যে নদী রাত্রির’, ‘এইসব নীল অপমান’, ‘অপ্রয়োজনীয় প্রবন্ধ’, ‘দুরন্ত কিশোর’, ‘বাংলাদেশের স্থাপত্য সংস্কৃতি’, ‘নির্বাচিত কবিতা’, ‘গল্পগাথা’, ‘ছড়িয়ে দিলাম ছড়াগুলি’ ইত্যাদি।
এইউএ/জেএইচ/এমএস
Advertisement