ট্রাকের ফুয়েল ট্যাংকে ডিজেল ধারণক্ষমতা ২২০ লিটার অথচ পাম্পের মিটার দেখাচ্ছে দেয়া হয়েছে ২২৭.৫১ লিটার। গত ২৩ নভেম্বর এমনই ঘটনা ঘটে লক্ষ্মীপুরের সিয়াম ফিলিং স্টেশনে। এভাবে প্রতারণার মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে পেট্রল পাম্পটির বিরুদ্ধে।
Advertisement
অভিযোগকারী ট্রাকমালিক আবু ইউসুফের দাবি, তার গাড়ির ট্যাংকে আগেই ২০-২৫ লিটার তেল ছিল। এরপরও সম্পূর্ণ খালি ছিল ধরা হলেও সাড়ে ৭ লিটার তেলের টাকা বেশি নিয়েছে পেট্রল পাম্প কর্তৃপক্ষ।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিলের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন তিনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ট্রাকমালিক আবু ইউসুফ গত ২৩ নভেম্বর (শনিবার) সকালে সিয়াম ফিলিং স্টেশনে ট্রাকে ডিজেল ভরতে যান। ওই সময় ট্রাকের ট্যাংকে ২০-২৫ লিটার ডিজেল ছিল। ট্যাংকটির ধারণক্ষমতা ২২০ লিটার। কিন্তু ফুল লোড করার পর পাম্পের মিটারে তেলের পরিমাণ ২২৭.৫১ লিটার দেখিয়ে তাকে ১৪ হাজার ৮৫৬ টাকার রসিদ দেয়া হয়। তখন তিনি ১৩ হাজার টাকা জমা দেন। বাড়তি টাকা পরে দেবেন বলে জানান।
Advertisement
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১২ সালে সিয়াম ফিলিং স্টেশনের কার্যক্রম শুরু হয়। পাম্পটিতে পেট্রল, ডিজেল, অকটেন ও এলপিজি গ্যাসের চারটি সাপ্লাই মেশিন রয়েছে। চট্টগ্রাম ও চাঁদপুরসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে ফুয়েল স্টেশনটিতে লোকজন জ্বালানি নিতে আসে। গত কয়েক বছরে পাম্প কর্তৃপক্ষ বহুবার যান্ত্রিক ত্রুটি দেখিয়ে অসংখ্য গ্রাহকের সঙ্গে প্রতারণা করেছে বলেও অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে ফিলিং স্টেশনের মালিক মো. সাহাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘ডিজেল সাপ্লাইয়ের মেশিনে যান্ত্রিক ত্রুটি রয়েছে। যে কারণে স্টাফ ভুল করতে পারে। ওই দিন আমি পাম্পে ছিলাম না।’
অন্যদিকে ইউএনও শফিকুর রিদোয়ান আরমান শাকিল বলেন, জ্বালানি তেল বিক্রিতে প্রতারণার ঘটনায় সিয়াম ফিলিং স্টেশনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
কাজল কায়েস /এমএমজেড/পিআর
Advertisement