শীতের শুরু হতে না হতেই মুখে, হাত-পায়ে টান ধরতে শুরু করে। এই সমস্যা দেখা দেয় মাথার ত্বকেও। ধীরে ধীরে আমাদের স্ক্যাল্প শুকনো হয়ে যায়। বাড়ে খুশকির সমস্যা। সেইসঙ্গে মাথায় চুলকানি তো থাকেই। যখন তখন মাথা চুলকানোর কারণে পড়তে হয় অস্বস্তিতে। চুলের গোড়া দুর্বল হয়ে চুল পড়ার সমস্যাও শুরু হয়। চলুন জেনে নেয়া যাক মাথায় চুলকানির সমস্যা হলে তা দূর করার উপায়-
Advertisement
নারিকেল তেল: তালুর শুষ্কতার কারণেই মূলত মাথা চুলকায়। এই সমস্যা কমাতে দু’চামচ নারিকেল তেল বাটিতে নিয়ে গরম করুন। গরম তেলে তুলো ডুবিয়ে সারা মাথায় তেলটুকু লাগিয়ে মিনিট পাঁচেক মাসাজ করুন। সারারাত তেলটা রেখে দিন, সকালে কোমল শ্যাম্পু দিয়ে হালকা গরম পানিতে ধুয়ে নেবেন। সপ্তাহে দু’বার করলে স্ক্যাল্পের চুলকানি কমে যাবে।
টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েল আমাদের স্ক্যাল্প আর্দ্র রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া টি ট্রি অয়েল অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল আর অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণে সমৃদ্ধ, ফলে সংক্রমণ প্রতিরোধে সাহায্য করে। তুলোয় করে কয়েক ফোঁটা টি ট্রি অয়েল নিয়ে মাথায় লাগান। পাঁচ মিনিট মাসাজ করুন। দু’ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু দিয়ে উষ্ণ গরম পানিতে ধুয়ে নিন।
অলিভ অয়েল: দু’ টেবিল চামচ অর্গানিক অলিভ অয়েল নিয়ে হালকা গরম করে নিন। এবার স্ক্যাল্পে, চুলের গোড়ায় গোড়ায় মাসাজ করুন যাতে তেল চুলে পুরো শুষে যায়। সারারাত রেখে দিন, সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু’বার করলে চুলকানি কমবে, চুলের স্বাস্থ্যও ভালো হবে।
Advertisement
পেপারমিন্ট অয়েল: ত্বক শীতল রাখতে পেপারমিন্ট অয়েল দারুণ কাজের। আধ চা চামচ পেপারমিন্ট এসেনশিয়াল অয়েলের সঙ্গে দেড় চা চামচ নারিকেল তেল বা অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এবার তুলো দিয়ে তেলটা সারা মাথায় লাগিয়ে একঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দু’বার করলে মাথার চুলকানি কমবে।
আর্গান অয়েল: খাঁটি আর্গান অয়েল নিয়ে চুলে আর স্ক্যাল্পে হালকা হাতে মাসাজ করুন। তেলটা চুলে পুরো শুষে যাবে। সারা রাত তেলটা চুলে রেখে দিন। সকালে উঠে শ্যাম্পু করে নেবেন। সপ্তাহে একদিন নিয়মিত করলে তফাৎ বুঝতে পারবেন, চুলের জৌলুসও বাড়বে।
এইচএন/এমকেএইচ
Advertisement