ধর্ম

ভয়াবহ সুনামিতেও অক্ষত ছিল রহমতউল্লাহ মসজিদ

২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর প্রলয়ংকারী ঘূর্ণিঝড় সুনামিতেও অক্ষত ছিল ইন্দোনেশিয়ার আচেহ প্রদেশের রহমতউল্লাহ মসজিদ। যা এখনো একই স্থানে অবিকল অক্ষত অবস্থায় বিদ্যমান। যেখানে নিয়মিত নামাজ আদায় করছে মুসলিমরা। ভয়াবহ ঘুর্ণিঝড় সুনামিতেও মসজিদটির কোনো ক্ষতি হয়নি।

Advertisement

রহমতউল্লাহ মসজিদের ইমাম সুলাইমান মুহাম্মাদ আমিন সে দিনের ভয়াবহ ঘটনার স্মৃতিচারণ করে বলেন, ‘২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বরের ভয়াবহ সুনামির কথা স্পষ্ট মনে আছে। ৯.৩ মাত্রার মারাত্মক ভূমিকম্প যখন এ অঞ্চলে আঘাত হানে, তখন মসজিদের পাশে একটি অনুষ্ঠান চলছি।

সে অনুষ্ঠানে অনেক মানুষ অংশগ্রহণ করেছিল। বোমা বিস্ফোরণের মতো বিকট আওয়াজে সুনামিযজ্ঞ ঘটে। সে সময় মনে হয়েছিল কেউ অনেক বড় কোনো বোমা হামলা চালাচ্ছে।

৬৮ বছরের বৃদ্ধ ইমাম মুহাম্মাদ আমিন বলেন, ‘বিকট আওয়াজের কিছুক্ষণের মধ্যেই আঘাতহানে সুনামি। ৩০ মিটার উঁচ সুনামির আঘাতে আচেহ প্রদেশের এ মসজিদ এলাকার আশেপাশে সব ঘর, বসতবাড়ি, ভবন ও বনাঞ্চল ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়।

Advertisement

তিনি আরও বলেন, ‘আচেহ প্রদেশের সমুদ্র তীরবর্তী স্থানে রহমতউল্লাহ মসজিদটি অবস্থিত। মসজিদের সুউচ্চ মিনার ও গম্বুজের চেয়েও উচু ছিল সুনামির ঢেউ।

অবাক করা বিষয় হলো- সুনামিতে সমুদ্র তীরবর্তী কোনো স্থাপনাই ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পায়নি। কিন্তু মসজিদ এলাকায় গিয়ে দেখি শুধু মসজিদটিই অক্ষত ও ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া আগের মতোই টিকে আছে। সুনামিতে মসজিদটির কোনো ক্ষতিই হয়নি।’

আচেহ প্রদেশের সমুদ্র তীরবর্তী রহমতউল্লাহ মসজিদটি আল্লাহর একান্ত অনুগ্রহে আজও সমহিমায় দাঁড়িয়ে আছে। প্রতিদিনেই ধ্বনিত হয় আজানের ধ্বনি। স্থানীয় ও দর্শনার্থী মুসল্লিরা এতে এখনো আগের মতোই নামাজ আদায় করে।

এমএমএস/এমকেএইচ

Advertisement