লেখক, বুদ্ধিজীবী ও উদ্যোক্তাসহ সৌদি কর্তৃপক্ষ অন্তত আটজনকে আটক করেছে। এই তথ্য নিশ্চিত করেছে লন্ডনভিত্তিক সৌদি মানবাধিকার গোষ্ঠী এএলকিউএসটি এবং অন্য একটি সূত্র। সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই বলছে, মুক্তভাবে মত প্রকাশের কারণে দুই বছর ধরে সৌদি রাজতন্ত্রের চলমান অভিযানের অংশ এই আটক।
Advertisement
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স বিভিন্ন সূত্রের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, গত সপ্তাহে রাজধানী রিয়াদ ও দেশটির লোহিত সাগর উপকূলের বন্দর নগরী জেদ্দা থেকে এসব ব্যক্তিকে আটক করা হয়। সাধারণ পোশাক পরিহিত একদল পুলিশ তাদের আটক করে। তারপর থেকে আর তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।
সৌদি সরকারের যোগাযোগ বিষয়ক কার্যালয়ে এই আটক ব্যক্তিদের সম্পর্কে জানতে সোমবার মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও রয়টার্সকে তারা এর কোনো জবাব দেয়নি। রিয়াদ রাজনৈতিক বন্দির কথা অস্বীকার করলেও সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলছেন, সমাজে স্থিতিশীলতা বজায় রাখতেই এসব মানুষকে আটক করা হয়।
সূত্র বলছে, যেসব ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে তারা ফ্রন্টলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নন। আটকদের মধ্যে কিছু বুদ্ধিজীবী আছেন তারা বিভিন্ন জায়গায় ব্যক্তিগত মতামত দিয়ে তাদের নিবন্ধ প্রকাশ করেছেন কিংবা টেলিভিশন অনুষ্ঠানে নানা বিষয়ে মন্তব্য করেছেন। আর বাকিরা হলেন উদ্যোক্তা।
Advertisement
২০১৮ সালের মাঝামাঝি নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার ঘোষণা দেয়ার পরপরই ডজনেরও বেশি নারী অধিকারকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়। স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো তাদেরকে দেশদ্রোহী হিসেবে তুলে ধরে। এ ছাড়া একটি আদালত তাদের বিরুদ্ধে বিদেশি সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগসহ নানা অপরাধের অভিযোগ আনে।
গত এপ্রিলে গ্রেফতার সেসব নারীর প্রতি সমর্থন জানানোর কারণে আটজনকে গ্রেফতার করা হয়, যাদের মধ্যে দুজনের সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের দ্বৈত নাগরিকত্ব আছে। প্রসঙ্গত, সৌদি আরবে রাজনৈতিক দল ও শ্রমিক ইউনিয়ন নিষিদ্ধ। সেখানে গণমাধ্যমের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে এবং রাজতন্ত্রের সমালোচনা করলেই জেলে যেতে হয়।
এসএ/জেআইএম
Advertisement