দেশজুড়ে

প্রতিবেশীকে দিয়ে জেএসসির ২৫০টি খাতা মূল্যায়ন করছিলেন শিক্ষক

দিনাজপুরের বিরামপুরে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ১০০ খাতা জব্দ করা হয়েছে। জব্দকৃত খাতাগুলো বিরামপুর থানায় সংরক্ষিত রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নুর আলম।

Advertisement

সোমবার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার আদর্শ হাইস্কুলের সামনে জিয়াউর রহমান নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর আলম ও যুব উন্নয়ন অফিসার জামিল উদ্দিন পুলিশসহ ওই খাতাগুলো জব্দ করেন।

গোপন সংবাদের ভিক্তিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর আলম জানতে পারেন, বিরামপুর পৌর শহরের আদর্শ স্কুল পাড়ার বাসিন্দা ফুলবাড়ি উপজেলার জয়নগর উচ্চ বিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষক সাহানুর রহমান সদ্য সমাপ্ত জেএসসি পরীক্ষার ২৫০টি খাতা মূল্যায়নের জন্য দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ড থেকে গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি নিজে খাতা মূল্যায়ন না করে প্রতিবেশী জিয়াউর রহমানের স্ত্রী দিলরুবা বেগমকে ২৫০টি খাতা মূল্যায়নের জন্য দিয়ে যান। এ খবর পাওয়ার পর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর আলম যুব উন্নয়ন অফিসার জামিল উদ্দিন এবং পুলিশ সঙ্গে নিয়ে ওই খাতাগুলো জব্দ করেন।

জিয়াউর রহমানের স্ত্রী দিলরুবা বেগম বলেন, শিক্ষক সাহানুর রহমান ২৫০টি খাতার মধ্যে মূল্যায়ন শেষে ১৫০টি খাতা নিয়ে গেছে এবং অবশিষ্ট ১০০টি খাতা গত সোমবার নিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। এ খাতা নিয়ে যাওয়ার পর শিক্ষক সাহানুর রহমানের স্ত্রী বিরামপুর আদর্শ হাইস্কুলের শিক্ষিকা শাহনাজ বেগমের খাতাগুলোও দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল।

Advertisement

জিয়াউর রহমানের স্ত্রী দিলরুবা বেগম জানান, তার জেএসসি পরীক্ষা দেয়া ছেলে অনিক ও নার্সারিপড়ুয়া শিশু ছেলে আবরার ওইসব খাতা মূল্যায়ন করেছে। শিশুদের দিয়ে খাতা মূল্যায়নের ফলে সত্যিই মূল্যায়ন হচ্ছে নাকি অবমূল্যায়ন হচ্ছে তা নিয়ে দেখা দিয়েছে নানা প্রশ্ন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নুর আলম বলেন, জব্দকৃত খাতাগুলো সিলগালা করে বিরামপুর থানায় পুলিশি হেফাজতে রাখা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, জব্দকৃত খাতাগুলো দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলে থানায় জমা রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বিরামপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। যার নং-১০০৫।

জানতে চাইলে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে জব্দকৃত খাতা মূল্যায়ন বা ফলাফলে কোনো অসুবিধা হবে না।

Advertisement

এমদাদুল হক মিলন/এমএএস/জেআইএম