নকশা জালিয়াতির মামলায় ডোম-ইনো প্রপার্টিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) স্থপতি আবদুস সালামের জামিন মঞ্জুর করেননি হাইকোর্ট। তবে তাকে আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন।
Advertisement
আদেশের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আজ আবদুস সালামের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ কে এম ফারহান। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল হেলেনা বেগম চায়না।
Advertisement
জানা গেছে, রাজধানীর বনানী আবাসিক এলাকায় পাঁচ কাঠা জমির মালিক মো. সিরাজুল ইসলামের মৃত্যুর পর ওই প্লট ওয়ারিশসূত্রে স্ত্রী বেগম রোকেয়া ইসলাম, পুত্র মো. এনামুল হক ও মো. একরামুল হক, মেয়ে আক্তার বানু ও নাহিদ আক্তার মালিক হন।
কিন্তু ২০০৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর ডোম-ইনো প্রপার্টিজ লিমিটেডের সঙ্গে ফ্ল্যাট নির্মাণের জন্য এনামুল হকের অনুমতি ছাড়াই চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়। পরে ওই জমিতে ফ্লাট নির্মাণে ডোম-ইনোকে দায়িত্ব দেয়া হয়।
জমির আরেক অংশীদার এনামুল হক ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত লন্ডনে বসবাস করার সময় ডোম-ইনোর এমডি মো. আবদুস সালাম এনামুল হকের স্বাক্ষর জাল করে রাজউক থেকে ফ্ল্যাট নির্মাণের অনুমোদন করান বলে অভিযোগ ওঠে।
ওই ঘটনায় দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আলী আকবর প্রাথমিক তদন্ত শেষে পাঁচজনকে আসামি করে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর বনানী থানায় মামলা করেন।
Advertisement
আবদুস সালাম ছাড়াও মামলায় অন্য আসামিরা হলেন রাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার ও বর্তমানে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সামছুর রহমান, রাজউকের সাবেক অথরাইজড অফিসার মো. শফিকুল ইসলাম, প্রধান ইমারত পরিদর্শক মুছলেম উদ্দিন ও ডাটা এন্ট্রি অপারেটর কাজী অমিত হাসান।
মামলাটি তদন্ত অবস্থায় ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বিচারাধীন।
এফএইচ/বিএ/এমকেএইচ