নবীগঞ্জের মাটি ও আবহাওয়া চাষের জন্য উপযোগী হওয়ায় বাণিজ্যিকভাবে শুরু হয়েছে বিদেশি ফল ড্রাগন চাষ। ইতোমধ্যে ড্রাগন চাষে সফল হয়েছেন মশিউর রহমান। বাজারে ফলের ভালো দাম ও চাহিদা থাকায় দিনদিন বাড়ছে ড্রাগন ফলের চাষ। কম সময়ে কম পুঁজিতে ড্রাগন চাষ করে বেকারদের স্বাবলম্বী হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
Advertisement
জানা যায়, উপজেলার পাহাড়ি অঞ্চল দিনারপুর পরগনার পানিউমদা গ্রামের উঁচু-নিচু পথ পেরিয়ে ববানি চা বাগান। পাহাড়ের পাদদেশে চা বাগানের একাংশে প্রায় ১ একর জমিতে ড্রাগন চাষ করে সফল হয়েছেন মশিউর রহমান। এখন অনেকেই এ ফল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
কৃষি অফিস জানায়, যেসব জমি পুরোপুরি সূর্যের আলো পায়, বর্ষায় পানি ওঠে না বা স্যাঁতস্যাঁতে থাকে না- এমন জমিতে ড্রাগন ফলের চাষ করা সহজ। বাগান করার মাত্র নয় মাসের মধ্যে গাছে ফল ধরতে শুরু করে। একটি ফলের ওজন ২০০ থেকে ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। তবে ৪-৫ বছরের একটির পূর্ণাঙ্গ গাছ থেকে এক কেজি পর্যন্ত ওজনের ফল পাওয়া যায়। একটি গাছ থেকে বছরে ৮০ কেজি পর্যন্ত ফল হতে পারে।
নবীগঞ্জের ববানি ড্রাগন বাগানের ম্যানেজার বিনয় চন্দ্র ভর্মন জানান, বাগানের মালিক মশিউর রহমান ১ বছর আগে ড্রাগন চাষের পরিকল্পনা করেন। প্রথমে সিমেন্ট দিয়ে প্রায় ৫০০টি পিলার তৈরি করেন। পিলারগুলোকে দাঁড় করিয়ে ১টি পিলারের চারপাশে চারটি করে চারা রোপণ করেন। এভাবে প্রায় ২ হাজার চারা রোপণ করেন। এতে সব মিলিয়ে ব্যয় হয় প্রায় ৭ লাখ টাকা। প্রথম মৌসুমেই দেড় লক্ষাধিক টাকার ফল বিক্রি করেন। সামনে আরও ৩ গুণ ফল বিক্রি করার আশা করছেন তিনি।
Advertisement
নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম মাকসুদুল আলম জানান, উপজেলায় বেশ কয়েকটি ড্রাগনের বাগান হয়েছে। বাগানগুলো দেখে অন্যরা চাষ করতে আগ্রহী হচ্ছেন। কেউ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসের পরার্মশ নিতে বলেন তিনি।
হবিগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক তমিজ উদ্দিন খাঁন বলেন, ‘আমাদের দেশে ড্রাগন সম্ভাবনাময় ফল। এর পুষ্টিগুণ অনেক। ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি আছে। ক্যান্সারসহ অনেক জটিল রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।’
মো. সরওয়ার শিকদার/এসইউ/এমকেএইচ
Advertisement