রাজনীতি

দেশে যে নিরাপত্তা নেই সিসারে হত্যাকাণ্ড তারই প্রমাণ

রাজধানীর গুলশানে ইতালিয়ান নাগরিক সিসারে তাভেল্লাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ক্ষোভ ও নিন্দা জানিয়েছেন বিএনপির শীর্ষনেতারা। তারা মনে করেন বর্তমানে কারো জীবনের নিরাপত্তা নেই। এই হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তাই প্রমাণিত হয়েছে। সাবেক সেনা প্রধান ও বিএনপির নীতি নির্ধারণী ফোরাম তথা জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, প্রকাশ্য এরকম হত্যাকাণ্ডের ঘটনার কারণে বাংলাদেশ আন্তর্জতিক মহলে ইমেজ সংকটে পড়বে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির কারণে এ ধরণের ঘটনা ঘটছে বলে মনে করেনে তিনি। তিনি বলেন, জাতিসংঘের মানবাধিকার সনদে নিরাপত্তাকে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শুভকর নয় । সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে অস্ট্রেলিয়ার দল না আসায় দুঃখ প্রকাশ করে সাবেক এই সেনাপ্রধান বলেন, নিরাপত্তার নিশ্চিত না হওয়ার অস্ট্রেলিয়র টিম বাংলাদেশে আসছে না। অন্যদিকে গুলশানে বিদেশি নাগরিক হত্যার পর যুক্তরাজ্য বাংলাদেশে অবস্থানরত তাদের নাগরিকদেরকে চলাফেরার সর্তক হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। এরকম সংকট উত্তরণে সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, যারা সন্ত্রাসী তাদেরকে ধরতে হবে। এসব সংকট মোকাবেলায় রাজনীতির ঊর্ধ্বে এসে কাজ করতে হবে। অন্যথায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে না। দলটির আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান জাগো নিউজকে বলেন, দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি যে ভাল নেই বিদেশি নাগরিক হত্যার মাধ্যমে তাই প্রমাণিত হয়ছে। বর্তমান বিদেশি নাগরিকরাও এ দেশে নিরাপদে নেই। হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সেটাই প্রমাণ হলো।  এরকম ঘটনা অগ্রহণযোগ্য মন্তব্য করে তিনি বলেন, সব নাগরিকদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সরকারের। বিদেশিদেরকে বেশি নিরাপত্তা দিতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি। এরকম ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশি ও বিদেশি কাউকেই যাতে এভাবে প্রাণ বিসর্জন দিতে না হয় সেজন্য নিরাপত্তা আরো জোরদার করতে হবে সরকারকে। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সেলিমা রহমান দেশে আইন-শঙ্খলা আছে কি-না এরকম প্রশ্ন রেখে বলেন, আইন-শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ-র্যাব ভক্ষক হয়ে গেছে। পুলিশ চাঁদাবাজি করছে। প্রকৃত আসামিকে ধরছে না। এরকম ঘটনার নিন্দা ও বিচার দাবি করে তিনি বলেন, রাষ্ট্র যখন সন্ত্রাস করে তখন আর কিছুই বলার থাকে না। এমএম/এসকেডি/এমএস

Advertisement