ঝালকাঠিতে ব্যক্তি উদ্যোগে নির্মিত মুক্তিযুদ্ধের ম্মৃতিস্তম্ভ থেকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে নলছিটি উপজেলার ষাটপাকিয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাখাওয়াত হোসেন জানান, ৫ বছর আগে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন নিজের এবং বিভিন্নভাবে সংগৃহীত অর্থ দিয়ে ঝালকাঠি-বরিশাল-খুলনা মহাসড়কের পাশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেন। শনিবার রাতের কোনো এক সময় অজ্ঞাত পরিচয়ের দুর্বৃত্তরা সেই স্তম্ভ থেকে বঙ্গবন্ধুসহ মোট ৪টি ভাস্কর্য ভেঙে ফেলেছে।
রোববার সকালে ভাস্কর্যগুলো পাশের খাল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
জানা গেছে, প্রায় বছর খানেক আগে মুক্তিযোদ্ধা মফিজ উদ্দিন ইন্তেকাল করেন। তার ছেলে মো. মাসুম হাওলাদার বলেন, একাত্তরে এ স্থানের কাছে চাচৈর নামক স্থানে ঝালকাঠি জেলার মধ্যে সবচেয়ে বড় সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এলাকায় পাক বাহিনী নির্মম অত্যাচার ও হত্যাযজ্ঞ চালায়। তাই একাত্তরের স্মৃতি রক্ষায় আমার বাবা মফিজ উদ্দিন ধারদেনা করে এবং বন্ধু-বান্ধদের কাছ থেকে সাহায্য এনে এ স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করেন। ওই স্তম্ভের উপরে বঙ্গবন্ধু এবং তিন মুক্তিযোদ্ধার ভাস্কর্য নির্মাণ করা হয়েছিল।
Advertisement
এদিকে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযোদ্ধাদের ভাস্কর্য ভাঙচুরের ঘটনায় জেলার মুক্তিযোদ্ধা এবং স্থানীয়রা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার দুলাল সাহা বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিরোধীরা এ কাজ করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে খুব শিগগিরই কর্মসূচি ডাকা হবে।
অপরদিকে স্থানীয়রা জানান, নলছিটির এক মুক্তিযোদ্ধার নামে মন্ত্রণালয়ে ভুয়া মক্তিযোদ্ধা বলে অভিযোগ করা হয়েছিল। তদন্তে সত্যতা পাওয়ায় তার মুক্তিযোদ্ধা ভাতা স্থগিত করে মন্ত্রণালয়। এটা সেই ক্ষোভেরও বহিঃপ্রকাশ হতে পারে।
আতিক রহমান/এমএমজেড/এমএস
Advertisement