জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন দাবি করেছেন, তার নেতৃত্বে থাকা অংশটিই পার্টির মূল ধারা। তিনি বলেন, ‘আমরাই মূল জেএসডি’। দলের সভাপতি আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বাধীন অংশটির বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তির সঙ্গে গভীর আঁতাতের অভিযোগ আনেন তিনি।
Advertisement
জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতনসহ আট নেতা সংবাদ সম্মেলন করে এমন দাবি করেন। এতে মূল বক্তব্য পাঠ করেন আতাউল করিম ফারুক। উপস্থিত ছিলেন সাবেক এমপি এম এ গোফরান, জিয়া খোন্দকার, মোশাররফ হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল খালেক, মা. দেলওয়ার হোসেন প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে তারা বলেন, ‘প্রথমে একে নির্বাচনী ঐক্য বা সমঝোতা বলা হলেও নির্বাচনের পর একে আরও ঘনিষ্ঠ থেকে ঘনিষ্ঠতর করা হচ্ছে আঙুল কেটে রক্ত শপথের মধ্য দিয়ে। তারা দলের ভিত গণতন্ত্র বাদ দিয়ে ব্যক্তিগত,পরিবারতন্ত্র ও কোটারিতন্ত্রের দিকে ঝুঁকে পড়েছে। গঠনতন্ত্রবিহীনভাবে কাউন্সিল করে ব্যক্তির ইচ্ছামতো উপজেলা, জেলা, মহানগর ও কেন্দ্রীয় কমিটি করার দিকে এগোচ্ছে। কিন্তু নিয়ম-নীতিবিহীন অগণতান্ত্রিক ও ব্যক্তির ইচ্ছানির্ভর অবৈধ্য কাউন্সিল দলের ব্যাপক সংখ্যাগরিষ্ঠ নেতাকর্মী মেনে নেয়নি। তারা এর বিরুদ্ধে চরমভাবে প্রতিবাদী হয়ে ওঠে। তাদের প্রেরণাতেই আগামী বছর ১১ জানুয়ারি দলের জাতীয় কনভেনশন ডাকা হয়েছে। এ কনভেনশনে দলের ঘোষণাপত্র গঠনতন্ত্র, নিয়মনীতি চূড়ান্ত করে গণতান্ত্রিকভাবে দলের একটি কাউন্সিল করা হবে। এর মধ্য দিয়ে জেএসডির ১০ দফা, সিরাজুল আলম খানে ১৪ দফাসহ অংশীদারিত্বের গণতন্ত্র ও মুক্তিযদ্ধের চেতনাভিত্তিক কর্মসূচি নেয়ার পথ প্রশস্ত হবে।
সংবাদ সম্মেলন তিনি অভিযোগ করেন, সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বললেও সে ভিত্তিক রাজনীতি ও রাষ্ট্র প্রশাসন গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। অপরদিকে বিএনপিসহ বিরোধী জোট সব ভুলে শুধু মুখে খালেদা জিয়ার মুক্তির কথা বলছে। এতে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন যেমন তারা জোরদার করতে পারছে না তেমনি জনদুর্ভোগ লাঘবেও তাদের ভূমিকা জাতির কাছে দৃশ্যমান হচ্ছে না। এ ধরনের পরিস্থিতিতে জাতীয় স্বার্থ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ওপর নানা দিক থেকে আঘাত আসলেও প্রতিবাদ-প্রতিরোধ গড়ে উঠছে না।
Advertisement
তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলসমূহকে গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালনার ওপরই জাতীয় স্বার্থ রক্ষা ও সুষ্ঠু রাজনীতির বিকাশ নির্ভর করে। এজন্যই অগণতান্ত্রিক ও অবৈধ্য কাউন্সিল বর্জন করে ১১ জানুয়ারি কনভেনশনের মাধ্যমে দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র সুনিশ্চিতের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
এফএইচএস/এমএআর/এমএস