ভারতের মহারাষ্ট্রে সরকার গড়ার বিষয়ে হঠাৎ করেই পটভূমি বদলে গেছে। এই ঘটনার বিরুদ্ধে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হতে পারে শিবসেনা, এনসিপি এবং কংগ্রেস।
Advertisement
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অজিত পাওয়ারকে সঙ্গে নিয়ে মহারাষ্ট্রে বিজেপি সরকার গড়ায় এবার এর বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চাইতে পারে ওই তিন দল।
মহারাষ্ট্রে রাতারাতি এই ক্ষমতা বদলের ঘটনায় অবাক হয়েছে দেশের রাজনৈতিক মহল। শনিবার ভোরে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবিশ। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন এনসিপির অজিত পাওয়ার।
শুক্রবার শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেসের মধ্যে হওয়া মিলিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অজিত পাওয়ার। মহারাষ্ট্রে নাটকীয় পালাবদলের মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেই শিবসেনাকে সমর্থন দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টি।
Advertisement
এদিকে মহারাষ্ট্রে এনসিপি নেতা অজিত পাওয়ার বিজেপিকে সমর্থন করলেও সেটি দল নয়, তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক বলেই উল্লেখ করেছেন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শরদ পাওয়ার। তিনি বলেন, এটা অজিত পাওয়ারের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত এবং এই সিদ্ধান্ত ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির নয়।
যদিও মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেওয়ার পর এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ফলাফলের দিন থেকে আজ পর্যন্ত কোনও দলই সরকার গঠন করতে পারেনি। মহারাষ্ট্র কৃষক সমস্যাসহ অনেক সমস্যার মুখোমুখি হয়েছে। তাই আমরা এখানে একটি স্থিতিশীল সরকার গঠন করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
অন্যদিকে রাতারাতি একেবারেই নিজের সিদ্ধান্তে বিজেপির হাত ধরলেন অজিত পাওয়ার। এই প্রসঙ্গে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত বলেন, শরদ পাওয়ারের এই ঘটনায় কিছু করার নেই। অজিত পাওয়ারই মহারাষ্ট্রের মানুষদের পেছন থেকে ছুরি মারলেন। শিবসেনার ওই নেতা আরও বলেন, অজিত পাওয়ার শুক্রবারের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। তবে গভীর রাত থেকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে এমনকি এনসিপি দলও জানে না হঠাৎ কী ঘটল।
মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেওয়ার পর দেবেন্দ্র ফড়নবিশ বলেন, বিজেপি মহারাষ্ট্রের জনগণকে একটি স্থিতিশীল সরকার দিতে চেয়েছিল। কিন্তু তার দলের জোটসঙ্গী শিবসেনা জনগণের আদেশ মানেনি। আমি এনসিপিকে এই সরকার গঠনের জন্য সমর্থন করায় ধন্যবাদ জানাই। আমরা সকলেই জানি যে গত কয়েকদিন ধরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি ছিল মহারাষ্ট্রে। শিবসেনা জনাদেশ অনুসরণ করেনি। মহারাষ্ট্রের খিচুড়ি সরকার নয়, একটি স্থিতিশীল সরকার দরকার ছিল বলেও উল্লেখ করেন মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী।
Advertisement
টিটিএন/এমএস