ধর্ম

ঋণ দেয়ার পর বিনিময় নেয়া কি বৈধ?

ঋণদাতা ব্যক্তির জন্য ঋণগ্রহীতা ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো উপহার বা উপঢৌকন গ্রহণ করা বৈধ নয়। আবার কেউ কোনো জিনিস বন্দক রেখে কাউকে ঋণ দিলেও ঋণদাতা কোনোভাবেই ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে কোনো সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করতে পারে না। ইসলামের নির্দেশনাও এমন।

Advertisement

তাই ঋণগ্রহীতা যদি ঋণদাতাকে স্বেচ্ছায় কোনো জিনিস বা সুযোগ-সুবিধা দিতে চায় তবে তা-ও গ্রহণ করা বৈধ নয়। কেননা ঋণের বিপরীতে অতিরিক্ত সুবিধা গ্রহণ সুদের অন্তর্ভূক্ত।

কাউকে ঋণ দিয়ে তার বিপরতীতে সুযোগ-সুবিধা গ্রহণ করাকে অবৈধ ঘোষণা করেছে ইসলাম। প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসে তা সুস্পষ্টভাবে ওঠে এসেছে-

হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যদি কাউকে ঋণ দেয় এরপর ওই ব্যক্তি তাকে খাদ্যভর্তি কোনো থালা হাদিয়া দেয়, সে যেন তা গ্রহণ না করে। অথবা কেউ যদি তাকে তার বাহনে চড়াতে চায়, সে যেন তাতে না চড়ে। তবে যদি (ঋণ গ্রহণের) আগে থেকেই তাদের মধ্যে (আন্তরিকতাপূর্ণ) এমন সম্পর্ক থাকে (তাহলে অসুবিধা নেই)।’ (বাইহাকি)

Advertisement

সুতরাং হাদিসের আলোকে কাউকে ঋণ দিয়ে এর বিপরীতে সুবিধা গ্রহণ কোনোভাবেই বৈধ নয়। অথবা যারা কোনো জিনিস বন্দক রেখে ঋণ দেয়ার পর ওই ঋণগ্রহীতার কাছ থেকে সুবিধা গ্রহণ করাও অবৈধ। ইসলাম কোনোভাবেই এটিকে অনুমোদন দেয় না। সে কারণেই প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ বিষয়ে সতর্ক থাকতে নসিহত পেশ করেছেন।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম ‍উম্মাহর পরস্পর ঋণগ্রহণকারী ও ঋণদানকারী উভয়কে বিনিময় থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের নির্দেশনা অনুযায়ী কাউকে উপকার করে কিংবা বন্দকের বিনিময়ে সুযোগ-সুবিধা থেকে বিরত থাকার তাওফিক দান করুন। হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

এমএমএস/জেআইএম

Advertisement