ধর্ম

ফিলিস্তিনের প্রথম বন্দি বারগৌথি ৩৮ বছরেও মুক্তি পায়নি

নায়েল বারগৌথি। ৬২ বছরের এক ফিলিস্তিনি নাগরিক। দখলদার ইসরায়েল কর্তৃক আটক প্রথম ফিলিস্তিনি মুসলিম যুবকও তিনি। ১৯৭৮ সালে তাকে দিয়েই ইসরায়েল বাহিনী ফিলিস্তিনিদের গ্রেফতার শুরু করে। কবে মুক্তি পাবে নায়েল বারগৌথি! জানে না অন্তহীন অপেক্ষায় থাকা স্ত্রী ইমান নাফির। খবর আনাদোলু এজেন্সি।

Advertisement

নায়েল বারগৌথির স্ত্রী ইমান নাফির। স্বামীর মুক্তির অপেক্ষায় অন্তহীন সময় অতিবাহিত করছেন। শুধু স্বামীর মুক্তির অপেক্ষায় কেটে গেছে ৩৮ বছরেরও বেশি সময়। নায়েলের মুক্তির ব্যাপারে এখনো তার পরিবার আশাবাদী।

ইসরায়েল বাহিনীর হাতে বন্দি প্রথম ফিলিস্তিনি হলেন ৬২ বছরের নায়েল বারগৌথি। ১৯৭৮ সালে গ্রেফতারের পর ৩৩ বছর পর ২০১১ সালে একবার মুক্তি পেয়েছিলেন নায়েল বারগৌথি।

স্বামীর অপেক্ষার প্রহর গোনা স্ত্রী ইমান নাফির আনাদোলু এজেন্সিকে এক সাক্ষাৎকার দেন। ওই সাক্ষাৎকারেই জানা যায়, নায়ের বারগৌথির জন্য পরিবারের অপেক্ষার কথা।

Advertisement

বারগৌথির পরিবারের আশা, ইসরায়েলের কারাগারে আটক বারগৌথি একদিন মুক্তি পাবেন। যদিও দুই দফায় কারাভোগে ইতিমধ্যে কেটে গেছে প্রায় ৩৮ বছর।

স্বামীর মুক্তির কথা বলার সময় ইমান নাফির চোখ বেয়ে গড়িয়ে পড়ে অশ্রু। তিনি আবারও মুক্ত জীবনে ফিরে আসবেন, আমি তার জন্য এখানেই অপেক্ষায় থাকবো।

ইমান নাফির বলেন, ‘১৯৭৮ সালে বন্দির ৩৩ বছর পর ২০১১ সালে এক বন্দিবিনিময় চুক্তির মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছিলেন তার স্বামী। সেটি ছিল হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে হওয়া একটি বন্দিবিনিময় চুক্তি।’

বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় মুক্তি পাওয়া অন্য অনেকের সঙ্গে ২০১৪ সালে আবারও তাকে গ্রেফতার করা হয়। দ্বিতীয় মেয়াদে তাকে দেয়া হয় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড।

Advertisement

উল্লেখ্য, ইমান নাফিরও ইসরায়েলের কারাগারে কাটিয়ে দেন দীর্ঘ ১০ বছর। ২০১১ সালে মুক্তি পাওয়ার পর নায়েল বারগৌথি তার সঙ্গে ১০ বছর জেল খাটা ইমান নাফিরকে বিয়ে করেন।

বিয়ের পর মাত্র ৩১ মাসের সংসার জীবন অতিবাহিত করেন নায়েল ও ইমান। স্ত্রী ইমান নাফিরই একমাত্র ব্যক্তি যে কিনা ইসরায়েলের কারাগারে স্বামী দেখতে যাওয়ার অনুমতি পান।

নায়েল বারগৌথির দ্বিতীয় বার গ্রেফতার হওয়ার রাতটি ছিল ইমান নাফির জন্য এক ভয়াবহ বেদনার। তার ভাষায়, ‘সে রাতটি ছিল আমার জন্য অত্যন্ত জঘন্য এবং ভৌতিক। সে সময় নিজেকে বজ্রাহত ব্যক্তির মতো মনে হচ্ছিল।’

এখনো স্বামীর মুক্তির অন্তহীন অপেক্ষায় পথ চেয়ে আছে ইমান নাফির। প্রতিবারই স্বামী দেখতে যাওয়ার সময় হাতে নিয়ে যান মুক্তির দাবি জানিয়ে লেখা ফেস্টুন। যদি তাতে মন গলে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের।

এমএমএস/জেআইএম