ফিলিস্তিনের মুসলমানরা দখলদার ইসরাইল কর্তৃক নির্যাতিত। দীর্ঘদিন ধরে ইসরাইল ফিলিস্তিনের ভূখণ্ড দলখ করে আসছে। সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে ফিলিস্তিনিদের বাড়ি-ঘর ও জায়গা দখলকে বৈধ বলে ঘোষণা দিয়েছে। মার্কিন প্রশাসনের এ সম্মতির সমালোচনা করেছেন খ্রিস্টানদের ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস। খবর দ্য টাইমস অব ইসরাইল।
Advertisement
দীর্ঘদিন ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে মুসলিমদের বসত-বাড়ি ও জায়গার অন্যায় দখলদারিত্বকে মার্কিন প্রশাসন অবৈধ বলে আসছিল। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগের অবস্থান থেকে সরে এসেছে। আর তাতে পোপ ফ্রান্সিস ট্রাম্প প্রশাসনের সমালোচনা করেছেন এবং তাদের অবস্থান পরিবর্তনে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
পোপ ফ্রান্সিস বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র তাদের আগের অবস্থান পরিবর্তন করায় মধ্যপ্রাচ্যের আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ব্যাহত হবে।’
পোপ আরও বলেন, ‘আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ইসরাইলের জন্য যে টুকু সীমানার স্বীকৃতি দেবে তার ভেতরেই যেন তারা শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করে। আর আমিও এটাকেই সমর্থন দেব। পাশাপাশি ফিলিস্তিনি জনগণকেও তাদের অধিকার দিতে হবে। তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
Advertisement
উল্লেখ্য যে, গত সোমবার ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরাইলি বসতি স্থাপন ও দখলকে বৈধ ঘোষণা করেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পে। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রীর এ ঘোষণায় যুক্তরাষ্ট্রের ৪০ বছরের পুরোনো অবস্থান পরিবর্তন হয়।
পম্পের এ ঘোষণার পরই পোপ ফ্রান্সিস মার্কিন প্রশাসনের সমালোচনা ও ফিলিস্তিনে ইসরাইলি সহিংসতার আশংকায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তাছাড়া বিশ্বব্যাপী যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘোষণায় সমালোচনার ঝড় শুরু হয়।
এদিকে ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীরে ইসরাইলের এ অবৈধ দখলদারিত্বকে মার্কিন প্রশাসন বৈধতা দেয়ায় কানাডাও তাদের নিজের অবস্থান পরিবর্তন করেছে। দেশটি আগে দখলদার ইসরাইলকে সমর্থন করলেও এখন তারা ফিলিস্তিনি জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
বাংলাদেশের প্রতিবাদফিলিস্তিনে ইসরাইলি দখলের কড়া সমালোচনা করে বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে গত বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয় যে, ফিলিস্তিনের ভূখণ্ডে ইসরাইলি দখল ও বন্দোবস্ত কার্যক্রম অবৈধ। সেখানে আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে ইসরাইলি দখলকে বেআইনি বলেও অভিহিত করা হয়েছে।
Advertisement
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২৪২ ধারা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠিত ফিলিস্তিন ও তার আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি বাংলাদেশ সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করছে। একই সঙ্গে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের রেজ্যুলেশন ৩৩৮, ৪২৫, ১৩৯৭, ১৫১৫, ১৫৪৪ ধারাসহ অন্য শান্তি প্রস্তাব এবং ‘শান্তির জন্য ভূমির নীতি’ ও পুনর্ব্যক্ত করছে বাংলাদেশ।
এমএমএস/এমএস