রাপারিন, রোজা এবং দেইজলি। প্রত্যেকের বয়স ৩০ এর নিচে। এদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট রোজা। তার বয়স ২২। এ বয়সী মেয়েদের স্বপ্নের সঙ্গে এই তিন তরুণীর স্বপ্নের কোনো মিল নেই। তিন তরুণী স্বপ্ন দেখেন ইসলামের নামে অপকাজে নিযুক্ত জঙ্গিরা ধ্বংস হোক। পৃথিবীতে ধর্মের নামে যুদ্ধে প্রতিনিয়ত মানুষের প্রাণের বলি নেওয়া বন্ধ হোক।হাতের বন্দুক আর শরীরের পোশাক পাল্টে ফেললে তাদের দেখে বোঝার উপায় নেই এ তরুণীরা লিপ্ত আছে ভিন্ন এক যুদ্ধে। অন্যদের মতো মনে হলেও তারা যে সাধারণ নন প্রতিনিয়ত তা প্রমাণ করছেন। তুরস্ক থেকে ইরাকের উত্তর প্রান্তে মাউন্ট সিনজার অঞ্চলে আইএস জঙ্গি কবলিত এলাকায় তারা বাস করছেন শুধুমাত্র এই জঙ্গিদের `উচিত শিক্ষা` দেওয়ার জন্য। এই তিন কন্যার বন্দুকের গুলিতে প্রতিদিন অন্তত ১০ জন জঙ্গি নিহত হচ্ছেন।হঠাত্ দেশ ছেড়ে এমন রুক্ষ পাহাড়ে এসে বসবাস কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে রোজা বলেন, `গত বছর যখন আইএস জঙ্গিরা সিনজারে এসে ইয়াজিদিদের ওপর ব্যাপক নির্যাতন শুরু করে তখন সেটা সহ্য করতে পারিনি। আইএস জঙ্গিরা প্রতিদিন খুন, ধর্ষণের মতো জঘন্য কাজ করছে। ধর্ষণকে এই জঙ্গিরা অস্ত্রের মতোই ব্যবহার করছে। নারীদের বিক্রি করছে। এই কাজকে এরা ইসলামের রূপ বলে চালাতে চাইছে। এর বিরুদ্ধে লড়তেই আমরা অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছি।গত এক বছরে ৫ হাজারেরও বেশি ইয়াজিদি সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষকে অপহরণ করা হয়েছে। কয়েক জনকে ছাড়িয়েও এনেছে এই তিন তরুণী। বাকীরা বন্দী রয়েছে আইএস জঙ্গিদের হাতে। এসআইএস/আরআইপি
Advertisement