জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে আগামী ১৫ বৎসরে অর্থাৎ ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষির উৎপাদন হার ৫ শতাংশ কমবে বলে জানিয়েছে পল্লী কর্ম-সংহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। রোববার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে পিকেএসএফ-এর বর্ষব্যাপী রজতজয়ন্তী উদযাপন ও উন্নয়ন মেলা-২০১৪ এর উন্নয়ন বিষয়ক সেমিনারে অতিথিরা।সেমিনারে ‘এগ্রিকালচার প্যাটার্ন, প্রবার্টি অ্যান্ড ক্লাইমেট চেঞ্জ’ বিষয়ক গবেষণাপত্র উপস্থাপন করেন পিকেএসএফের কমিউনিটি ক্লাইমেট চেঞ্জ প্রজেক্টের প্রকল্প পরিচালক ড. ফজলে রাব্বী আহমদ।তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বাংলাদেশের কৃষি উৎপাদনের ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে। আগে এখানে অনেক বেশি পরিমাণে গম, ধান, রবিশস্য উৎপাদন হতো। সমুদ্রের লবণাক্ততা বেড়ে যাওয়ায় ফসল উৎপাদনের ধরণ পরিবর্তন হয়েছে।গবেষণাপত্রে বলা হয়, ২০৩০ সালের মধ্যে সমুদ্র লবণাক্ততা চাঁদপুর পর্যন্ত চলে যাবে। সুন্দরবনের নিকটবর্তী অঞ্চলসমূহ পানিতে তলিয়ে যাবে। এ অবস্থা বহাল থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে ৫ শতাংশ কৃষি উৎপাদন কমে যাবে। এর মধ্যে গমের উৎপাদন কমবে ৩২ শতাংশ এবং ধানের উৎপাদন কমবে ৮ শতাংশ। ফলে ২০৩০ সালের মধ্যে কৃষি প্রবৃদ্ধি ৩ দশমিক ১ শতাংশ কমে যাবে।বেসামরিক বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বেশি পড়ছে কৃষি ও দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ওপর। কৃষির সঙ্গে সাধারণ মানুষ জড়িত। ফলে এ বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করা জরুরি।অর্থায়নের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে পারলে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব বাংলাদেশে খুব বেশি প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।অর্থনীতিবিদ ও পিকেএসএফের সভাপতি ড. খালিকুজ্জামান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে ঝুঁকি মোকাবেলায় বাংলাদেশ যে পরিমাণ অর্থ পায় তা অন্য কোনো দেশ পায় না। বিশ্ব জলবায়ু তহবিলের ১০০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে বাংলাদেশকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়। যা তুলনামূলক অনেক বেশি। এছাড়া এ খাতে বড় অংকের সহায়তা দিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার।
Advertisement