ক্যাম্পাস

আনন্দ-উৎসবে ইবির ৪১তম জন্মদিন পালন

ছেলেরা বাহারি রঙের পাঞ্জাবি আর মেয়েদের কপালে লাল টিপ সঙ্গে লাল রংয়ের শাড়ি। চারিদিকে রঙিন পতাকা, লাল ও নীল ব্যানারে শিক্ষার্থীদের ছুটে চলা। কারো মাথায় বাহারি ক্যাপ, কারও হাতে ঢোল ও তবলা। চারিদিকে উৎসবের আমেজ। কারণ ভালোবাসা, আবেগ ও অনুভূতির ১৭৫ একরের ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪১তম জন্মদিন আজ শুক্রবার (২২ নভেম্বর)। বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্মদিন উপলক্ষে নবরুপে সেজেছে পুরো ক্যাম্পাস, সেই সঙ্গে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরাও।

Advertisement

বছরের এই দিনটির অপেক্ষায় থাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ হাজার শিক্ষার্থী। সেই সঙ্গে অপেক্ষায় থাকে শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা। দিনের শুরুতেই শিক্ষার্থীরা রুচিসম্মত পোশাক পরে নিজ বিভাগে উপস্থিত। গন্তব্য বিভাগের হয়ে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ। বাংলা, আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা, ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট, ভূগোল ও পরিবশে বিদ্যা বিভাগসহ সকল বিভাগ, আবাসিক হল, প্রশাসন, প্রকৌশল অফিস নিজস্ব ব্যানারে আনন্দ শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করে।

শোভাযাত্রায় ঢোল ও তবলার তালে চলে জন্মদিনের স্লোগান। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রশাসন ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে কাটা হয় ৪১ পাউন্ডের একটি কেক। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন উপাচার্য অধ্যাপক হারুন উর রশিদ আসকারী, উপ উপাচার্য অধ্যাপক শাহিনুর রহমান এবং কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক সেলিম তোহা।

Advertisement

এ সময় ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এস এম আব্দুল লতিফ, ছাত্র উপদেষ্টা ও প্রক্টর অধ্যাপক পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক সরওয়ার মুর্শেদ, বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাইদুর রহমান, খালেদা জিয়া হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক রেবা মন্ডল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুল হক তানজীম বলেন, অল্পদিনেই বুকের একপাশে একটি নাম জায়গা করে নিয়েছে। সেই নাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। তাই এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে গাইবো, নাচবো আর আনন্দ করবো।

একই রকম অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বাংলা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী নাসরিন বলেন, ক্যাম্পাস জীবন যে কত মধুর তা বিশ্ববিদ্যালয়ে না পড়লে বুঝতাম না। মাতৃভূমিকে যেমন মা বলা হয় তেমনি ১৭৫ একরের এই ক্যাম্পাসটিও আমার মায়ের মতো।

ফেরদাউসুর রহমান সোহাগ/আরএআর/পিআর

Advertisement