ক্যাম্পাস

আবরার হত্যায় বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার ঘটনায় বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আরও ছয় শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদ বহিষ্কার করা হয়েছে।

Advertisement

আবরার ফাহাদ হত্যায় গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বুয়েটের বোর্ড অব রেসিডেন্স অ্যান্ড ডিসিপ্লিন বহিষ্কারের এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।আজীবন বহিষ্কৃতরা হলেন- মেহেদী হাসান রবিন (১৫ ব্যাচ), মোহাম্মদ অনিক সরকার (১৫ ব্যাচ), ইফতি মোশারফ সকাল (১৬ ব্যাচ), মো. মনিরুজ্জামান মনির (১৬ ব্যাচ), মো. মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন (১৫ ব্যাচ), মো. মুজাহিদুর রহমান (১৬ ব্যাচ), মেহেদী হাসান রাসেল (১৩ ব্যাচ), এহতেশামুল রাব্বি তানিম (১৭ ব্যাচ), খন্দকার তাবাককারুল ইসলাম তানভীর (১৬ ব্যাচ), মুনতাসির আল জেমি (১৭ ব্যাচ), এ এস এম নাজমুস সাদাত (১৭ ব্যাচ), মো. শামীম বিল্লাহ (১৭ ব্যাচ), মোর্শেদ অমর্ত্য ইসলাম (১৭ ব্যাচ), হোসাইন মোহাম্মদ তোহা (১৭ ব্যাচ), মুজতবা রাফিদ (১৬ ব্যাচ), মো. মিজানুর রহমান (১৬), মো. আশিকুল ইসলাম (১৬ ব্যাচ), এস এম মাহমুদ (১৪ ব্যাচ), ইশতিয়াক আহমেদ মুন্না (১৫ ব্যাচ), অমিত সাহা (১৬ ব্যাচ), মো. মাজেদুর রহমান (১৭ ব্যাচ), মো. শামসুল আরেফিন (১৭ ব্যাচ), মোয়াজ আবু হুরাইরা (১৭ ব্যাচ), মো. আকাশ হোসেন (১৬ ব্যাচ), মোরশেদ-উজ-জামান মন্ডল (১৬ ব্যাচ), মুহতাসিম ফুয়াদ (১৪ ব্যাচ)।

শাস্তিপ্রাপ্ত অন্য ৬ জন হলেন- আবু নওশাদ সাকিব (১৭ ব্যাচ), মো. সাইফুল ইসলাম (১৭ ব্যাচ), মোহাম্মদ গালিব গালিব (১৭ ব্যাচ), মো. শাওন মিয়া (১৭ ব্যাচ), সাখাওয়াত ইকবাল অভি (১৭ ব্যাচ), মো. ইসমাঈল (১৬ ব্যাচ)।

Advertisement

ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়ার জেরে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে গত ৬ অক্টোবর রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরেবাংলা হলের নিচতলা ও দোতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পরদিন ৭ অক্টোবর দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গে আবরারের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। আবরার বুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন।

এ ঘটনায় আবরারের বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ।

গত ১৩ নভেম্বর এ ঘটনায় ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক ওয়াহিদুজ্জামান।

Advertisement

অভিযুক্ত ২৫ জনের মধ্যে এজাহারে নাম রয়েছে ১৯ জনের। এছাড়া তদন্তে প্রাপ্ত এজাহারের বাইরে ছয়জন। এজাহারভুক্ত ১৯ জনের মধ্যে ১৬ জন ও এজাহারবহির্ভূত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারদের মধ্যে আটজন বিজ্ঞ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

গ্রেফতার ২১ জন হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মো. অনিক সরকার, ইফতি মোশাররফ সকাল, মো. মেহেদী হাসান রবিন, মো. মেফতাহুল ইসলাম জিওন, মুনতাসির আলম জেমি, খন্দকার তাবাখখারুল ইসলাম তানভির, মো. মুজাহিদুর রহমান, মুহতাসিম ফুয়াদ, মো. মনিরুজ্জামান মনির, মো. আকাশ হোসেন, হোসেন মোহাম্মদ তোহা, মাজেদুর রহমান, শামীম বিল্লাহ, মোয়াজ আবু হুরায়রা, এ এস এম নাজমুস সাদাত, ইসতিয়াক আহম্মেদ মুন্না, অমিত সাহা, মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজান, শামসুল আরেফিন রাফাত ও এস এম মাহমুদ সেতু।

পলাতক চারজন হলেন- মোর্শেদুজ্জামান জিসান, এহতেশামুল রাব্বি তানিম, মোর্শেদ অমত্য ইসলাম ও মোস্তবা রাফিদ। এদের মধ্যে প্রথম তিনজন এজাহারভুক্ত ও শেষের জন এজাহারবহির্ভূত।

বিএ