তারা শরিফি। ইরানের ১১ বছরের শরিফি সবে উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী। মেনসা আইকিউ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নাম্বার পেয়ে সফলতা লাভ করেছে। শরিফি আইকিউ টেস্টে হারিয়েছে আলবার্ট আইনস্টাইনসহ হালের সেরা মেধাবী বিজ্ঞানী স্টেফেন হকিংও বিল গেটসকে। তার আইকিউ স্কোর এসব বিজ্ঞানীকে ছাড়িয়ে গেছে।
Advertisement
তারা শরিফি যুক্তরাজ্যের আয়েলসবারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সে অক্সফোর্ডে এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে। এ আইকিউ টেস্টে তার স্কোর হলো ১৬২। সে উচ্চ মেধা স্কোর ১৪০ এর রেকর্ড অতিক্রম করেছে।
তারা শরিফির জন্য এ স্কোর অর্জন এক বিশাল সফলতা। এ সফলতার ফলে শরিফি মেনসা আইকিউ ফোরামের সদস্য হওয়ার যোগ্য হয়ে ওঠে। উচ্চ আইকিউ সম্পন্ন সংস্থার মধ্যে মেনসা আইকিউ ফোরাম অন্যতম।
উচ্চ আইকিউ স্কোর অর্জন সম্পর্কে তারা শরিফি তার প্রতিক্রিয়ায় প্রকাশ করে বলে, ‘এ আইকিউ পরীক্ষাটি ছিল আমার এবং আমার বাবা-মার যৌথ সিদ্ধান্ত। মেনসা সিস্টেমের সঙ্গে যোগাযোগ করায় এটি হবে আমার জন্য একটি বড় সুযোগ। এ সুযোগের কথা ও সিদ্ধান্তটি আমি আমার স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছি। তারা আমার এ খবরে মুগ্ধ হয়েছে।
Advertisement
তারা শরিফি তার সামনের দিনগুলোতে গণিত নিয়ে ক্যারিয়ার গড়ার পরিকল্পনা নিয়েছে। তারা শরিফির বাবাও মেয়ের এ অর্জনের পর তার সিদ্ধান্ত ও ভবিষ্যৎ ভাবনাগুলোর সঙ্গে সম্মতি দিয়েছে। তিনি মেয়ের এ অসাধারণ কৃতিত্বে গর্ববোধ করছেন।
তিনি বলেন, ‘আমি খুবই গর্বিত। আমি মেয়ের ক্ষুরধার মেধা দেখে খুব হতবাক হয়েছি যে, সে খুবই দুর্দান্তভাবে সাফল্য লাভ করেছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি অনুভব করেছি যে, তারা শরিফি প্রতিযোগিতায় অন্যান্য প্রতিযোগিদের চেয়ে গণিতের প্রশ্নগুলো দ্রুততার সঙ্গে দিচ্ছে। আর তাতে সে সফল হবে।
পরিশেষে…তারা শরিফি আইকিউ টেস্টে অন্যান্য প্রতিযোগিদের হারিয়ে সেরা হয়েছে। সে খুবই মেধাবী কিন্তু আমি জানতাম না যে, সে আইকিউ টেস্টে সবাকে পেছনে ফেলে সেরা হবে।
Advertisement
A post shared by Labodif (@labodif) on Jun 2, 2019 at 11:45am PDT
উল্লেখ্য যে, উচ্চ আইকিউ (মেধা) সম্পন্ন কিশোর-কিশোরীদের কথা বলতে গেলে প্রথমেই যে নামটি ওঠে আসে তাহলো- ‘মেনসা’। এ ‘মেনসা’ কোনো কিশার কিংবা কিশোরীর নাম নয়। ‘মেনসা’ হলো উচ্চ আইকিউসম্পন্ন ব্যক্তিদের একটি ফোরাম।
১৯৪৬ সালে ইংল্যান্ডে ফোরামটি প্রতিষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাপী একশ’রও বেশি দেশের সদস্য রয়েছে এ ফোরামে।
বিজ্ঞানী ও আইনজীবী ল্যানচেলট লিওনেল ওয়ারে এবং ব্যারিস্টার রোনাল্ড ব্যারিল নামের দুই জন ব্যক্তি ‘মেনসা’ প্রতিষ্ঠা ও কার্যক্রম শুরু করেন। পরবর্তীতে সারা পৃথিবীতে এ আইকিউ ফোরামের বিস্তার ঘটে।
বিশেষ আইকিউ পরীক্ষা গ্রহণের মাধ্যমে মেনসা তাদের সদস্য সংগ্রহ করে থাকে। এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে ইরানের ১১ বছরের মুসলিম কিশোরী তারা শরিফি।
বর্তমানে সারা পৃথিবীতে মেনসার সদস্য সংখ্যা প্রায় ১ লাখ। শুধু ইংল্যান্ডেই রয়েছে ২০ হাজার সদস্য। মেনসার মোট সদস্য সংখ্যার ৮ ভাগের বয়স ১৬ বছরের নিচে। আর মোট সদস্য সংখ্যার ৩৫ ভাগ সদস্য নারী।
এমএমএস/এমকেএইচ