অর্থনীতি

এসএলআর সংরক্ষণে অব্যাহতি পেল প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

সহজে বিনিয়োগযোগ্য সম্পদ (এসএলআর) সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থেকে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে অব্যাহতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

Advertisement

বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ’ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।

২০ নভেম্বর তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংক-কোম্পানি আইন- ১৯৯১ (২০১৮ পর্যন্ত সংশোধিত) এর ১২১ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে উক্ত আইনের ৩৩ ধারায় নির্দেশিত সহজে বিনিময়যোগ্য সম্পদ সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। এ বিষয়ে ২০ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন নং-বিআরপিডি (পি-৩)/৭৪৫(৫৬)/২০১৯-৯৫১৩ এর অনুলিপি অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে প্রেরণ করা হলো। জানা গেছে, তলবি ও মেয়াদি দায়ের মোট পরিমাণের ১৯ শতাংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে সংরক্ষণ করতে হয়। এটিকে বিধিবদ্ধ জমা বা এসএলআর (স্টেটিউটরি লিক্যুইডিটি রেশিও) এবং নগদ অংশ সংরক্ষণ বা সিআরআর (ক্যাশ রিজার্ভ রিকোয়ারমেন্ট) বলা হয়। ২০১৮ সালের আগস্টে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংকের তফসিলিভুক্ত হয়। ফলে বাংলদেশ ব্যাংকের ২০১৩ সালের এমপিডি সার্কুলার অনুযায়ী দেশের প্রচলিত তফসিলি ব্যাংকের জন্য সিআরআর’র অতিরিক্ত নগদ জমাসহ দেশের অভ্যন্তরে সহজে বিনিয়োগ্য সম্পদের রক্ষণীয় মাত্রা দৈনিক ভিত্তিতে তাদের মোট তলবি ও মেয়াদি দায়ের ১৩ শতাংশের কম হবে না। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংককে তফসিলি বিশেষায়িত ব্যাংক হিসেবে তালিকাভুক্তি এবং ব্যাংকটির ওপর ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ প্রযোজ্য হওয়ায় প্রবাসী ব্যাংক নির্ধারিত উল্লিখিত হারে এসএলআর সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু ব্যাংকটি ওই সম্পদ সংরক্ষণের বিধান থেকে অব্যাহতির আবেদন করে।

এ প্রেক্ষিতে ব্যাংকটিকে এসএলআর সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এর আগে ১৯৮৭ সালে তফসিলি বিশেষায়িত ব্যাংক হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক ও রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংককেও এসএলআর সংরক্ষণ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।

Advertisement

এসআই/এএইচ/পিআর