ভাবছেন, হঠাৎ ঝগড়া করার বুদ্ধি কেন? আসলে সম্পর্ক সব সময়ই যে একই গতিতে চলবে তা কিন্তু নয়। সম্পর্কে ঝগড়াঝাটি হবেই। এমনকী এই ঝগড়াই সম্পর্ককে আরও মজবুত করে। নিজের মনের চাওয়াগুলো পরস্পরকে জানিয়ে দেয়ার স্পষ্ট উপায়ই হলো ঝগড়া। তবে তার মানে কিন্তু এই নয় যে আপনারা সারাক্ষণ কেবল ঝগড়াই করে যাবেন!
Advertisement
সারাক্ষণ ছোট ছোট বিষয় নিয়ে খিটিমিটি চলতে থাকলে শেষপর্যন্ত সম্পর্কটাই ক্ষতিগ্রস্ত হতে হবে। তাই ঝগড়া করতে হবে স্মার্ট উপায়ে। অর্থাৎ, ঝগড়ার বিষয়বস্তু হতে হবে অর্থবহ। যেন আপনাকে বিরক্তিকর মনে না হয়। জেনে নিন স্মার্টভাবে ঝগড়ার উপায়-
বুঝেশুনে ঝগড়া করুন: সব বিষয় নিয়ে ঝগড়া বাঁধিয়ে ফেলবেন না যেন। প্রথমেই আপনাকে জানতে হবে কোন বিষয় নিয়ে ঝগড়া করা যায়, আর কোনটাতে ছাড় দিলেও ক্ষতি নেই। যদি এমন কোনো বিষয় থেকে থাকে যা নিয়ে আপনার স্বামী কোনোভাবেই আপোস করতে রাজি নন এবং তা থেকে বড় ঝামেলা বেঁধে যেতে পারে, তাহলে ব্যাপারটা নিয়ে খোঁচাখুঁচি না করাই ভালো! পারিবারিক শান্তি বজায় রাখা সবার আগে জরুরি।
মাথা ঠান্ডা রাখুন: ঝগড়া মানেই মাথা গরম করবেন না। কারণ মাথা গরম হলে আমরা বেশিরভাগ সময়ই অপ্রয়োজনীয় বা অযৌক্তিক কথা বলি। তাতে ঝগড়ার মূল পয়েন্ট থেকে সরে যেতে পারেন। তাই প্রয়োজনে বিষয়টি নিয়ে পরে কথা বলুন। কিছুক্ষণ একা থেকে মেজাজ নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করুন। পরে না হয় ঠান্ডা মাথায় ঝগড়াটা সেরে নেবেন।
Advertisement
খুব বেশি ইগো নয়: সম্পর্ক মানেই ছাড়। সেই ছাড় দিতে হতে পারে ঝগড়াতেও। শুধু একতরফা নিজের দিকটিই না ভেবে সঙ্গীর দিকটিও ভাবুন। তার দৃষ্টিভঙ্গী বুঝতে চেষ্টা করুন। ভুলটা যদি আপনার হয়, স্বীকার করে নিন না! ভুল স্বীকার করলে কেউ ছোট হয়ে যায় না। আর রাগ পুষে রাখবেন না। তাতে সম্পর্কে চিড় ধরতে পারে দ্রুতই।
সাহায্য নিন কাছের মানুষের: সম্পর্কে সমস্যা দেখা দিলে বেশিরভাগই তা লুকিয়ে রাখতে চেষ্টা করেন। কিন্তু সমাধান না হলে তা ধীরে ধীরে বড় আকার ধারণ করে। যদি এমন হয়, আপনাদের মধ্যকার ঝামেলাটাও জটিল হয়ে উঠছে তবে সাহায্য নিন কাছের মানুষদের। পরিবারের অন্যদের সঙ্গে আলাপ করুন, সমস্যার কথা তাদের জানান। তাদের পরামর্শে একটি ভালো সমাধান আপনি পেতে পারেন।
এইচএন/জেআইএম
Advertisement