জাতীয়

গুজবে বাড়তি লবণ কিনে এখন আফসোস!

লবণের দাম বেড়ে গেছে- দেশজুড়ে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) বিভ্রান্ত হয়ে যারা বেশি দামে লবণ কিনেছিলেন, তারা এখন আফসোস করছেন। সেই সঙ্গে আর্থিক ক্ষতিরও সম্মুখীন হয়েছেন তারা।

Advertisement

দাম বেড়ে যাওয়ার গুজব ছড়ানোর পর লবণ কিনতে লোকজন দোকানে ভিড় করেন। অনেক দোকানে লম্বা লাইন দেখা যায়। আর এই সুযোগে বেশি দামে লবণ বিক্রি করেন অনেক দোকানী। ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে বেশ কয়েকজনকে আটকও করা হয়েছে।

দাম বাড়ার আশঙ্কার গুজবে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় অনেককে বাড়তি লবণ কিনতে দেখা যায়। তবে সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ব্যবসায়ীদের তৎপরতায় লবণের দাম আবার স্বাভাবিক হয়ে আসে। কিন্তু বেশি দামে যারা বাড়তি লবণ কিনেছেন, এখন আফসোস করছেন তারা। এত লবণ এখন কী করবেন, তা নিয়ে তাদের মধ্যে ভাবনা তৈরি হয়েছে।

গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে যারা বেশি দামে বাড়তি লবণ ক্রয় করেন, তাদের একজন রাজধানীর পল্টন লাইন এলাকার বাসিন্দা রাজীব হাসান। দাম বাড়ার আশঙ্কায় মঙ্গলবার বিকেলে তড়িঘড়ি করে তিনি দশ কেজি লবণ কেনেন। এতে প্রতি কেজি লবণে তাকে দশ টাকা বেশি গুণতে হয়।

Advertisement

রাজীব হাসান জানান, ‘বেশি দামে বাড়তি লবণ কিনে আমি বোকামি করেছি। পেঁয়াজের মতো লবণের দাম বাড়তে পারে, এমন কথা শোনার পর আমি আগামী তিন-চার মাসের লবণ একবারে কিনে ফেলি। কিন্তু রাতে দেখি লবণের দাম স্বাভাবিক হয়ে গেছে। এখন চিন্তা করছি এত লবণ দিয়ে কী করব।’

শিল্প সচিব মো. আব্দুল হালিম বলেন, ‘এখন চাহিদার চেয়ে দেশে প্রায় ৬ গুণ বেশি লবণ মজুদ আছে। উল্টো ব্যবসায়ীরা লবণ বিক্রি করতে পারছেন না। তাই তারা লবণ রফতানির অনুমোদন চেয়ে সরকারের কাছে দেনদরবার করছেন। সেখানে লবণের দাম বাড়ার কোনো ধরনের আশঙ্কা থাকতে পারে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে যারা বেশি দামে লবণ কিনেছেন, তারা ঠকেছেন। যিনি ৫ টাকা বেশি দামে কিনেছেন, তিনি অব্যশই ৫ টাকা ঠকেছেন।’

আব্দুল হালিম বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে লবণ কিনলে তিনি ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। এটি যে গুজব ছিল সেটি সবাই এখন বুঝতে পেরেছে। এরপরও গুজবে বিভ্রান্ত হয়ে কেউ কেউ লবণ কিনেছেন। এটি নিশ্চয়ই বোকামি হয়ে গেছে।’

Advertisement

বুধবার (২০ নভেম্বর) দুপুরে ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধলা গ্রামের একটি বাড়ির গুদামে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে মজুদ করা ৭ হাজার কেজি লবণ উদ্ধার করে পুলিশ।

খবর : বাসস

এমএসএইচ/জেআইএম