আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৬৯তম জন্মদিন উপলক্ষে কেক কেটেছেন সুপ্রিম কোর্টের আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের একাংশ। তবে অনুষ্ঠানে আওয়ামীপন্থী অর্ধশতাধিক আইনজীবী উপস্থিত থাকলেও অনেক সিনিয়র আইনজীবীকে দেখা যায়নি ।সোমবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের আয়োজনে সু্প্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ভবনের উত্তর হলে কেক কেটে জন্মদিন পালন করেন তারা। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না সরকারের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমও। তাছাড়া অ্যাডভোকেট শম রেজাউল করিম, ব্যারিস্টার এম আমির উল ইসলাম, ব্যারিস্টার রুকন উদ্দিন মাহমুদ অ্যাডভোকেট মামতাজ উদ্দিন আহমদ মেহেদীসহ আওয়ামীপন্থী অনেক আইনজীবীকে দেখা যায়নি ।অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য ও সিনিয়র আইনজীবী ইউসুফ হোসেন হুমায়ন। তিনি বলেন, অনেক আইনজীবী আছেন যারা বঙ্গবন্ধুর নাম নিয়ে থাপ্পর দিয়ে টেবিল ফাঁটিয়ে ফেলেন কিন্তু আজ তারা উপস্থিত নেই। বন্ধের মধ্যেও অনেক আইনজীবী উপস্থিত হয়েছেন তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।ইউসুফ হোসেন বলেন, শেখ হাসিনা কারো প্রলোভনে পড়েন না। তিনি হলেন দূরদৃষ্টি সম্পন্ন, কৃতজ্ঞাতাবোধের অধিকারী। তার দ্বারা পাবর্ত্য শান্তি চুক্তি, সমুদ্র সীমা বিজয়, সিটমহল চুক্তি সম্ভব হয়েছে।বঙ্গবন্ধু আইনজীবী পরিষদের সভাপতি ও বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল বাসেত মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, পরিষদের সাধারণ সম্পাদক লায়েকুজ্জামান মোল্লা, নুরুল ইসলাম সুজন, আজহারুল্লাহ ভূ্ইয়া, আওসাফুর রহমান বুলূ প্রমূখ। প্রসঙ্গত, ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত তিন মেয়াদে ক্ষমতাসীন হয়েছে। ১৯৯৬ সালে তার নেতৃত্বে দীর্ঘ ২১ বছর পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসে আওয়ামী লীগ। এর পর ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনে চার-তৃতীয়াংশ আসনে বিশাল বিজয় অর্জনের মাধ্যমে ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার গঠিত হয়। দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা। গত বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে বিজয়ের পর ১২ জানুয়ারি তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।এফএইচ/এসকেডি/আরআইপি
Advertisement