তৈরি পোশাক শিল্প খাতের ৯০ শতাংশ শ্রমিককে ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল ওয়েজ পেমেন্টের আওতায় আনা হবে। বর্তমানে ১.৫ মিলিয়ন তৈরি পোশাক শ্রমিক এ পদ্ধতিতে মজুরি পাচ্ছেন। ডিজিটাল পদ্ধতিতে মজুরি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে পুরুষ শ্রমিকদের তুলনায় নারীরা পিছিয়ে রয়েছেন। আর্থিক অন্তর্ভুক্তি জোরদার করতে নারী শ্রমিকদেরকে ডিজিটাল পেমেন্টের আওতায় আনার ওপর অগ্রাধিকার দিতে হবে।
Advertisement
বুধবার রাজধানীর রেডিসন হোটেলে বাংলাদেশ ডিজিটাল ওয়েজ সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। এক্সেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রকল্পের আওতায় এ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
এটুআই প্রকল্পের পলিসি এডভাইজার অনির চৌধুরীর সঞ্চালনায় উদ্বোধনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। এতে আইএলওর বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর তৌমু পৌটিয়ানিন, ইউএনডিপির রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টিটিভ সুদীপ্ত মুর্খাজী, মার্কস অ্যান্ড স্পেনসারের বাংলাদেশ কান্ট্রি ম্যানেজার স্বপ্না ভৌমিক, বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট ড. রুবানা হক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্ণর আহমেদ জামাল প্যানেল আলোচনায় অংশ নেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পদ্ধতিতে কর্মসম্পাদনের ক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে। ই-ফাইলিং ব্যবস্থাপনায় শিল্প মন্ত্রণালয় শীর্ষস্থান দখলকারী মন্ত্রণালয়গুলোর তালিকায় অন্যতম। রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোতে ই-পূর্জি (ইক্ষু সরবরাহের অনুমতিপত্র) চালুর মাধ্যমে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের সুযোগ কাজে লাগানো হচ্ছে। ডিজিটাল ওয়েজ পেমেন্ট পদ্ধতি চালুর ক্ষেত্রে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সর্বাত্মক সমর্থন থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
Advertisement
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প কর্মসূচি আজ সাফল্যের দ্বার প্রান্তে। বর্তমানে বাংলাদেশের ১০০ মিলিয়ন মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এর পাশাপাশি দেশে ১শ ৬০ মিলিয়ন মানুষের কাছে মোবাইল সিমকার্ড রয়েছে। তৈরি পোশাক শিল্পখাতের প্রত্যেক শ্রমিক ন্যূনতম একটি করে মোবাইল ফোন ব্যবহার করছেন। এ বাস্তবতায় অল্প সময়ের ব্যবধানে সকল তৈরি পোশাক শ্রমিককে ডিজিটাল ওয়েজ পেমেন্টের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এসআই/এমএসএইচ/এমকেএইচ