ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলম বলেছেন, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালালে অনেক এমপি-মন্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে।
Advertisement
গত ১৮ নভেম্বর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এসব মন্তব্য লেখেন সিদ্দিকী নাজমুল আলম। তার ফেসবুক স্ট্যাটাসটি এখানে তুলে ধরা হলো...
‘ছাত্রলীগের দায়িত্ব ছেড়েছি প্রায় চার বছর এতদিন যাবত দেশের বাহিরেই থাকি মাঝখানে ছাত্রলীগের সম্মেলনে এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সব মিলিয়ে তিন/চার মাস দেশে ছিলাম দায়িত্বে থাকার সময় টেন্ডার চাঁদা তদবির কমিটি বাণিজ্য কোনটিই করিনি তারপরেও দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছেন অবৈধ সম্পদের খোঁজে।
কোন অন্যায় না করে এত বড় কষ্টের দায় কেন নিতে হচ্ছে জানি না। কষ্ট পাচ্ছি না নিজের প্রতি ঘেন্না হচ্ছে এই চার বছরে ধার করেছি প্রায় অনেক টাকা আমার পাওনাদারও আছেন আমার ফ্রেন্ডলিস্টে তাদের কাছ থেকে সময় নিয়েছি ফেরত দিবো বলে তারাও ত্যাক্ত বিরক্ত আমার প্রতিতবে কি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাটের সাথে আমার রাজনৈতিক সম্পর্ক ছিল এই কারনেই আমার শাস্তি ?
Advertisement
সম্রাট ভাই আমাকে আদর করতো স্নেহ করতো রাজনীতির মাঠেই তার সাথে আমার সম্পর্ক হয়েছিল। সম্রাট ভাইয়ের সাথে সম্পর্ক ছিল এই কারণে দুদক আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চালালে অনেক এম পি মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের তো তাহলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে কারন...’# প্রায় সব্বাই দুধে ধোয়া তুলসিপাতা #
উল্লেখ্য, গত ১৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে শুদ্ধি অভিযান শুরু করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরই অংশহিসেবে ৩০ সেপ্টেম্বর দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খানকে তদারক কর্মকর্তা ও পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনকে প্রধান করে ৭ সদস্যবিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়।
অনুসন্ধান টিমের প্রাথমিক তদন্তে শতাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপ্রদর্শিত ও অবৈধ সম্পদের তথ্য হাতে পেয়েছে দুদক। সে অনুযায়ী, এবার অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে সংস্থাটি।
গত ৩০ অক্টোবর প্রভাবশালী ২৩ ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৬শ’ ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে চিঠি দেয় দুদক। হিসাবগুলো আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই, যুবলীগের সম্রাট, জি কে শামীম, খালেদসহ অন্যান্য ব্যক্তি ও তাদের প্রতিষ্ঠানের। এ তালিকায় আছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকী নাজমুল আলমও।
Advertisement
জেএইচ/পিআর