অষ্টম শ্রেণির এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধর্ষক করে আটক করে থানায় দিয়েছেন এলাকাবাসী। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার রনচণ্ডি ইউনিয়নের উত্তরপাড়া গ্রামের এই ঘটনায় সোমবার সকালে ছাত্রীর বাবা এমদাদুল হক বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ওই ধর্ষককে আটক করে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠিয়েছে। ধর্ষক একই গ্রামের দবির উদ্দিনের ছেলে বাবু মিয়া (২৫)।মামলার সূত্র মতে ছাত্রী ও ধর্ষক একই গ্রামের বাসিন্দা। শনিবার সন্ধ্যায় বাবু মিয়া ওই ছাত্রীকে জোরপূর্বক অপহরণ করে অজ্ঞাত স্থানে দুই দিন ধরে আটক রেখে ধর্ষণ করেন। ছাত্রীটির বাবা এলাকার ইউপি সদস্য তোজ্জাম্মেল হক ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় সোমবার ভোরে মেয়েটিকে উদ্ধার ও ধর্ষক বাবু মিয়াকে আটক করে কিশোরগঞ্জ থানায় নিয়ে এসে মামলা দায়ের করেন। এদিকে ধর্ষণের অভিযোগে আটক বাবু মিয়া থানায় সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাটি এলাকার ইউপি সদস্য তোজাম্মেল হক পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়েছেন। আমি মেয়েটিকে বিয়ে করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ইউপি সদস্য এজন্য তার কাছে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন। আমি তাকে ১০ হাজার টাকা দিয়েছি। সে আরো ২০ হাজার টাকা না পেয়ে আমাকে থানা পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছেন। রনচণ্ডি ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তোজাম্মেল হক তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করেন। কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান ঘটনাটি নিশ্চিত করে জাগো নিউজকে বলেন, ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে মামলা (নম্বর ৬–ধারা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ আইন ৯/১(৭) ) দায়ের করেছেন। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।জাহেদুল ইসলাম/এমজেড/পিআর
Advertisement