জাহাজ ভাঙা (শিপব্রেকিং ইয়ার্ডে) বিভিন্ন দুর্ঘটনায় নিহত ও আহত শ্রমিকদের সংখ্যা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে নিহত ও আহতদের বিষয়ে অনুসন্ধান করে দায়ীদের বিরুদ্ধে শাস্তি ও সংশোধনমূলক পদক্ষেপ এবং তাদের ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের পদক্ষেপের বিষয়েও বিস্তারিত জানতে চাওয়া হয়েছে।
Advertisement
বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) এক সম্পূরক আবেদনের প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই নির্দেশ দেন।
আগামী বছরের ৫ জানুয়ারি এই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর।
তিনি আরও জানান, শিল্প মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পরিবেশ অধিদফতর, বিস্ফোরক অধিদফতর, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরকে আদালতের এ নির্দেশনা পালন করতে হবে।
Advertisement
আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ কবীর।
পরে এক বিজ্ঞপ্তিতে সাঈদ কবীর সাংবাদিকদের জানান, ২০০৮ সালে বেলার এক রিট মামলায় বিভিন্ন সময়ে জাহাজ ভাঙা ইয়ার্ডে শ্রমিক স্বার্থ নিশ্চিত করতে দফায় দফায় নির্দেশনা প্রদান করেন হাইকোর্ট। কিন্তু সংশ্লিষ্টদের অবহেলায় রায় পরবর্তী সময় থেকে জাহাজ ভাঙতে গিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৯৪ জন শ্রমিক এবং পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন ৮৬ জন শ্রমিক। এ অবস্থায় সম্পূরক আবেদনটি করে বেলা। সেই আবেদন শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।
এফএইচ/এমএসএইচ/এমএস
Advertisement