বাবার কাঁধে দোল খেতে খেতেকুমিল্লা থেকে বরিশাল,শস্য-শ্যামল বিস্তৃত জল,নদী-বিল খাল আর খাল।
Advertisement
সুগন্ধ্যা, ধানসিঁড়ি আরবিষখালী নদীর পাড়ে,প্রিয় ঝালকাঠির স্মৃতিতে আজওমন আছে ভরে!
স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলতামস্কুলের ও দলের একাদশে!সেরা খেলোয়াড় স্বপন কাকু,শেখাতেন ভালোবেসে!
খাল কাটতে গিয়েছিলাম দূরেছাত্র শিক্ষক মিলে,কিশোর আমিও খাল কেটেছি,ধানসিঁড়ি নদীর কোলে!
Advertisement
তুলাপট্টির খোকন রুপমকাপড়িয়া পট্টির নান্না খোকন,কাঠপট্টির গৌতম নট্ট,গোপাল আর প্রিয় ইকবাল;কাসাপট্টির বিপুল গৌতমসাহাপট্টির রহিম বাচ্চুআর বনিক নিতাই শ্যামলাল!
আরও কত বাল্যবন্ধু,ছুটছে তো ছুটছে জনে জনে;কে কোথায় আছে বিধাতা জানে;সবাইকে খুব পড়ে মনে।
বন্ধু ইউনুস হারিয়ে গেলনদীর স্রোতের তোড়ে!তাঁর হাসির ঝিলিক আজও,তীর হয়ে বিঁধে অন্তরে!
ভরদুপুরে দলবেঁধে নাইতে নামা,প্রমত্তা বিষখালীর ডাকঘাটার ঘাটে!নৌকায় চড়ে হাওয়া হয়ে যাওয়াবাসন্ডা ও নবদ্বীপের হাটে!
Advertisement
মুকুন্দ স্যারের বেতের বারি,হাই বেঞ্চে জিভ বের করে,দাঁড়িয়ে সং সাজা কান ধরে,কাঠপট্টির বিশাল চরে!নদীর পাড়ে আমরা সবাই রাজা!
স্কুল ফাঁকি দিয়ে কত কী খেতাম,নোনতা বিস্কুট চানাচুর ভাজা,কাউফল ডাব তরতাজা;আর প্রিয় তিলের খাজা!
ঝালকাঠি পুড়ে ছাই হলোএকাত্তরের এপ্রিলে;ইছানীল থেকে আমরা দেখলামচোখের নোনাজলে!
শীতলাখোল থেকে বাসন্ডা,ডাকঘাটা থেকে স্টিমার ঘাট,কত কথা মনে পড়ে।গাজী রকেট আর অস্ট্রিচেরভেঁপুর শব্দ ঠাঁই নিয়েছেআমার মনের নীড়ে!
কত সুর কত গান কত স্মৃতিহারানো দিনগুলো ঘিরে!শৈশবের সেই সোনালি দিনগুলো;ইস যদি আবার আসতো ফিরে!
দিনের পর দিন যায়,স্মৃতির পরে স্মৃতি,তবু আজও আগের মতই আছেকিশোর বেলার স্মৃতি!
এসইউ/পিআর